সমাজ বিপ্লবী-পথ প্রদর্শক
বাংলার চেতনার প্রতীক চৈতন্য-নিমাই ।
পণ্ডিত-সাহসী-ত্যাগী সর্বগুণ সমন্বিত ,
স্মৃতিশাস্ত্রের ধারক-বাহক সমাজপতিদের
অত্যাচারে নিপীড়িত সাধারণের  মুক্তির লাগি’
ব্যথিত হৃদয়ে এই মহান মানব
প্রাণ-প্রিয় মাকে ছেড়ে , বিষ্ণুপ্রিয়া প্রিয়পত্নী ছেড়ে
মহাব্রত করিতে পালন—
সংসার করিয়া ত্যাগ হইলেন বিবাগী-সন্ন্যাসী ।
প্রায়শ্চিত্ত ব্যবস্থা ভেঙে
স্মৃতিশাস্ত্রের অক্টোপাস থেকে—
ছুঁতমার্গের-বর্ণভেদের করাল ছোবলে
তীব্র বিষে জর্জরিত মানুষের পাশে
দাঁড়িয়ে দেখিয়ে দেন নবতর দিশা—
মানুষে মানুষে কোন নেই ভেদাভেদ ।


স্মৃতিশাস্ত্রকারগণ থাকিতে উন্নীত
সাধারণের মাঝে দিলেন প্রাচীর গড়িয়া ।
নিজেদের আয়ের উৎস করিতে সৃজন
প্রায়শ্চিত্ত ব্যবস্থা তারা করেন রচনা ।
খড়্গ-হস্ত হইলেন স্বার্থে লাগিতে আঘাত ,
চৈতন্যের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্রে হলেন প্রলুব্ধ ।
আত্মবলি দিতে হল মহান ত্যাগিকে ।


ধর্মমত যত আছে সারা পৃথিবীতে—
সকলের মাঝে আছে প্রচ্ছন্ন গোঁড়ামি ,
কুনীতি মুক্ত সমাজ গড়িবার তরে—
প্রগতিশীল দরদী চাই চৈতন্যের মত ।
সমাজ বিপ্লবীর হোক আশু আবির্ভাব ,
সব ধর্মের গোঁড়ামিকে করিতে চূর্ণ
লৌহ লগুড় হস্তে করুক ধারণ ,
ভেঙেচুড়ে হীনতার হোক অবসান ।
***************************