দুষ্টু সোনার খুনসুটিটা মিষ্টি লাগে ভারি ,
ভাব জমিয়ে ক্ষণেক পরে আবার দেখায় আড়ি ।
বুদ্ধি পাকা , একটু পরে কিছুই বোঝে না ,
সব কিছুই ছুঁড়ে ফেলে কিচ্ছু খোঁজে না ।
খানিক পরে আবার সবে সাজায় বসে বসে ,
সিঁড়ি দিয়ে উঠতে  নামতে শুধুই অঙ্ক কষে ।
স্বর ধ্বনি রপ্ত তাহার ব্যাঞ্জনেতে ‘না’ ,
কাঠি পেলে লাঠি বানায় কাউকে ছাড়ে না ।
খাটের উপর ডান্স বাংলার আসর বসায় রোজ ,
অডিয়েন্সের ধার ধারে না , নেয় না কারো খোঁজ ।
লন্ড-ভন্ড বিছানা আর খাট পালঙ্ক সবি ,
খাতা কলম কেড়ে নিয়ে নিজেই সাজে কবি ।
দাদার ছবি আঁকতে গিয়ে আঁকে প্যাঁচার মুখ ,
এতেই তাহার গর্বিত মুখ , এতেই মোদের সুখ ।
নিজের হাতে করবে সবি , খাবার বেলায় ‘না’ ,
বেঠিক কাজে তাহার শুধু হাজারো বায়না ।
সোজাটাকে উল্টো করে , উল্টো বললে সোজা ,
পায়ের থেকে খুলে ফেলে হাতে পরে মোজা ।
ক্যালকুলেটর , মোবাইল , ট্যাবে হাত গিয়েছে পেকে ,
চারটি দেয়াল মসি-সিক্ত করছে লেখে লেখে ।
অখাদ্যটা  পূরবে মুখে লুকিয়ে ঘরের কোণে ,
ছোটা ভীমের কীর্তি-কলাপ চুপটি করে শোনে ।
বল খেলাতে পটুতা তার , ক্রিকেট খেলাতেও ,
সত্যি মিথ্যার প্রমান পেতে মোদের বাড়ি যেও ।
       ###################