হে শরত ! প্রণাম তোমায় ,
প্রণাম তোমার ঝরে পড়া ওই শিউলির বীথিকায় ।
সবেমাত্র নির্ঝরিত শিশিরের বিকশিত জ্যোতি ,
তাকেও জানাই আমি এ শরতে অনাবিল নতি ।
বর্ষায় ধোওয়া-মোছা সরস প্রকৃতি—
জাগায় হৃদয়-মাঝে বিক্ষুব্ধ ভকতি ।
তবু তাকে এ শরতে জানাই প্রণতি ।
সরসী-কমলদলে শরতের হাসি
শারদীয়া মহোৎসবে সবটুকু বেদনাকে নাশি’
অভিযুক্তা অধিষ্ঠাত্রী দেবতার প্রতি
সকলের সাথে তাকে জানাই প্রণতি ।
মহোৎসবের আলিঙ্গনে ফেটে পড়ে হৃদয়ের হাসি ,
নিরন্ন মানুষের কান্নার রোল ভেসে আসি’
মনটাকে করে তোলে আরো ব্যথাতুর ,
অথচ বিশ্বমায়ের দিগন্ত মুখরিত আগমনী সুর
ভেসে এল দুয়ারের একেবারে কাছে
তবু সেই মহানন্দে এই মন কভু নাহি নাচে ।
অক্ষম অযোগ্যা মায়ের পাষাণ মূরতি ,
তবুও জানাই তাকে পবিত্র প্রণতি ।
নিষ্প্রাণ পাষাণী মা ! তুই কাদের তরে বল্ ?
লক্ষ টাকার বেদির পরে আছিস অবিচল !
বেশ তো খাসা নামটা জগন্মাতা !
বিশ্বে বুঝি ধনীর বাড়ি স্বর্ণ আসন পাতা ?
তা হলে আর তোর চরণে ফেললে আঁখিজল
কী লাভ হবে বল !
তবু বলি—যদি পারো এ জগতের নাশিতে দুর্গতি ,
নিস্ তা হলে এ নিঃস্বটার সশ্রদ্ধ প্রণতি ।
      ***********************