(১)
বয়ঃসন্ধির স্বপ্ন দেখা দিবাস্বপ্ন সম ,
তন্দ্রালু ভাব কেটে গেলে অনুধ্যানি ভ্রম ;
অবুঝ মনের স্বপ্ন শেষে
তন্দ্রা কাটে এক নিমেষে,
আসল স্বপ্নের অভ্যুদয়-- মনে অনুক্রম ;
স্বপ্ন সফল করতে হলে চাই ক্লান্তি বিহীন শ্রম।
স্বপ্নের যে ফানুস ওড়ে সুদূর আকাশ পাড়ে--
ফিরে কি আর আসে কভু নিজের চারিধারে?
ভস্মীভূত হয় কভু সে,
না হলে সে বাতাস দুষে,
চুপসে গিয়ে পড়বে কোথায়,অজানা কার দ্বারে!
স্বপ্ন তখন হারিয়ে যাবে হয়তো একেবারে ।
ভবিষ্যতের স্বপ্ন মনে শুরু হলে দেখা--
সুস্পষ্ট আখরে যদি হৃদয়ে থাকে লেখা----
জীবন হবে ধন্য তা'তে ;
শুরু হবে যেই প্রভাতে--
থরে থরে কালো মেঘে ঢাকলে আকাশখানি--
ধৈর্য ধরে করলে লড়াই, বাস্তব দেয় হাতছানি।
_ _ _ _ _ _
(২)
গল্পচ্ছলের কল্পলোকে যে দিন
তোমার সঙ্গে প্রথম দেখা--
সেদিন অনুরাগের মলয় হাওয়া
হৃদয় প্রান্তরে বয়ে গেল ,
দোল দিয়ে গেল সবুজ পাতার পরতে পরতে ;
কল্পনার জালে জড়াতে জড়াতে
সেদিন সে কি বিহ্বলতা.........!
তারপর দেখা হতে লাগলো অবসরের বাতায়নে,
বইয়ের পাতার প্রতিটি লাইনের
দাড়ি, কমা, সেমিকোলনে ,
তোমার নামের প্রতিটি আখরের পেলবতায়
হাত বুলাতে বুলাতে কেটে গেল অনেকটা প্রহর !
তারপর যখন গল্পের স্বপ্ন সামনে এসে দাঁড়ালো,
মিলিয়ে দেখলাম স্বপ্ন আর বাস্তবের
যুগপৎ মেলবন্ধন ;
দেখলাম--স্বপ্ন এক নতুন রাস্তা ধরে
চলে এসেছে আমার একান্ত নিবিড় কাছে ;
স্বপ্নকে ছাড়িয়ে সে পৌঁছে গেল
বাস্তবের দোরগোড়ায় ।
আবার স্বপ্ন দেখা শুরু হলো মনের গভীরে ,
শুরু হলো স্বপ্ন সফল করার নতুন লড়াই ,
সেই লড়াইয়ে ক্ষত-বিক্ষত হলো হৃদয়ের প্রান্তর ;
তারপর খর-তপ্ত বোশেখের শেষ অধ্যায়ে
নেমে এলো স্বস্তির অনাবিল বারিধারা ,
বৃষ্টির জলে ধুয়ে গেল সব ক্ষত, সব ধোঁয়াশা,
আর ধূসরিত সব ধুলো-বালি ।
====সমাপ্ত====