না , মনে আমার কোনো অনুতাপ নেই - - - !
মানুষের সাধারণ স্বার্থে, মানবিক কর্তব্যে
মাথা উঁচু করে চলতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছি বারবার ;
প্রতিবন্ধকতা ছিলো দলীয় সংকীর্ণতার মোড়কে
ব্যক্তিস্বার্থের চরমতম পরাকাষ্ঠা ।
অপমানের আঘাত উপেক্ষা করেছি বিবেকের শাসনে ,
তাই তার যন্ত্রণাও বিবেকের সম্মার্জনীতেই
ঝাঁট দিয়ে ফেলে দিয়েছি ডাস্টবিনের তলদেশে ।
সেদিন যদি অপমানের বাধায় ধাক্কা খেয়ে
থমকে যেতাম,
যদি ফিরে এসে স্বার্থসুন্দর গৃহশয্যায় গা
এলিয়ে দিতাম ,
কিংবা লালায়িত শিকারীর পাতা ফাঁদে পিঞ্জরাবদ্ধ হয়ে
ওদের অপমান জয় করতে দেয়া-নেয়ার রাস্তা ধরে
অবনত মস্তকে ঋজু পথ ছেড়ে দিয়ে
কুটিল পথের পথিক হতাম- - - - -
তবে অপমানের দহনে হয়তো হতে হতোনা দগ্ধীভূত !
কিন্তু অপশক্তির মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে সঙ সেজে
পদলেহনের আপাত মধুরতার স্বাদে বশীভূত হয়ে
নিজেকে বিলিয়ে দিতে হতো অপরাধের ঘৃণ্য অঙ্কে ,
অমানবিকতার জিঞ্জিরে বন্দি হয়ে তিলে তিলে
তলিয়ে যেতে হতো নারকীয় পঙ্কিলতার অতল তলে !
ওদের অপমানের শ্লেষধারা আজ আমার মাথায়
আশীর্বাদ হয়ে বর্ষিত হয়েছে ।
সত্য সুন্দর ! পরহিত ব্রতে, প্রগতির পথে - - -
কুসুমাস্তীর্ণ মসৃণতা , সুগম্য বাঞ্ছিত হলেও
সেই স্বপ্নিল পথ চিরদিন দুর্গম , প্রতিবন্ধকতার বাধায়
পদে পদে হয় বিঘ্নিত ।
চলার পথে পা হয় ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত ;
এই প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অপমানের বিষ-বাষ্প
উপেক্ষা করেই এগোতে হয় ; আমি তা-ই করেছি ।
আজ আমার হৃদয় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ ,
হৃদয়ে আজ বইছে মলয় হাওয়ার অনাবিল প্রশান্তি ।
====সমাপ্ত====