অনাথ বাবু স্কুল মাষ্টার,
সারাটা ইহকাল চিরকুমার হিসাবে কেটে গেলো।
সুঠাম দেহ,নিপাট সাধাসিধে ভদ্রলোক।


পান্ডিত্যের ভারে ফুটে উঠতো ব্যক্তিত্ব।
মেজাজ বলতে একটুও নেই,
ছেলেদের পাঠদান করতে করতে কখন যে
অবসর নিল তা বুঝতেও পারে নি।
সব সাবজেক্টেই ছিলো অসাধারন দক্ষতা।


এখন তিনি সারাদিন ভাঙা মনে বসে থাকেন
ঘরের এক কোনে।
রোমন্থন করে যান পুরানো সেদিনের
কর্মব্যস্ত প্রহর গুলোর কথা।


সব রঙ নিভে গেলেও প্রথম প্রোপোজ করার
মুখরিত ক্ষন পিছু ডাকে,
ডাকে অমলার হাতের স্পর্শের মেদুরতা।
যেদিন পেল লাজুক বর্নের অক্ষরে শত ভাজ করা
কাগজে গোলাপ ছবিতে ভালোবাসার
উপহার।


সেই উপহারের কথা ভাবতে ভাবতে
একদিন নিজের অবসরের সব উপহার গুলো,                          দেবার বাসনা জাগ্রত করলো।