উমার জন্য কেউ গলা ফাটালো না।
অষ্টাদশী সদ্য যুবতী উমা,
পিতৃহারা কন্যার আর্ত চিৎকার
কর্ণপটহে ধাক্কা দিতে পারেনি এই
সমাজের।
আজ উমা বেওয়ারিশ অন্তঃসত্ত্বা।
কামনার দাবানলে
পাশবিক যৌনতার হেনস্থায় সমাজের কলঙ্কিত নারী।


কেউ অভয় দিতে এগিয়ে আসবেন
এই অসহায় ছিন্ন সমাজের সামিয়ানায়?
না!কেউ নেই।
সারা জীবন পাপের মস্ত ভার বহন করতেই হবে
এই অভাগীকে।
খেটে খাওয়ার জীবন সংগ্রামে
লড়াকু মনে যৌবনের উত্তাল ঝড়
সামলাতে পারেনি উমার অদূরদর্শিতায়।
কাঁচা মাথায় কাঁচা কামনার উত্তাপ
পারেনি প্রশমিত করতে।


তাই আজ উমা গ্রামছাড়া,
অনাগত সন্তানকে নিয়ে সমাজচ্যুত।
আজ উমা নিরূদ্দেশ....
নতুন ঠিকানা গড়ে
নতুন মাইলস্টোনে তার সন্তানকে
আকড়ে ধরে চলছে।
আর সেই বংশপরিচয়হীন সন্তানের
কাছে প্রতিনিয়ত জবাবদিহি করতে করতে
নিঃশেষিত হয় জীবনের আলো।
সারা দেহে চাপ চাপ অন্ধকার,
দলা দলা ঘৃণায় জমে ওঠে প্রশ্ন--
কীসের সমাজ?
কীসের সংস্কৃতি?
কীসের মানব সভ্যতা?


এত আইন কানুনেও
উমার সন্তান আজও পেলনা বংশ পরিচয়।
উমা সব পাপ হজম করে,
অন্যায়ের নরবলী হয়ে,
ইজ্জতের দেউলিয়া হয়ে
সমাজের ঘুণে ক্ষত বিক্ষত হচ্ছে অবিরত।।