পড়ন্ত বেলার সোনালি ছটা গুলো…  
তোমার শেম্পুকরা চুলগুলোকে ভেদ করে
ধাক্কা লাগছে আমার গায়ে।
তুমি ফুলের তোড়ায় গুঁজে যাচ্ছ,
গুচ্ছ  গুচ্ছ  স্বপ্ন।  
আমি ঘাস ছিঁড়ে দাঁতে কাটছি আনমনে
কোন এক অলীক কল্পনায়
মুখে কোন কথা নেই
আমরা বসে আছি পাশাপাশি।
আমি তখন সবে একুশ, আর তুমি অষ্টাদশী।


ক্লাসে ইচ্ছে করেই…
ঝরনা কলমটি ফেলে দিতাম মাটিতে  
তুমি কামড়ে সোজা করে দিতে
আমার কলমের বেঁকে যাওয়া নিফ।  
আমি প্রাণভরে দেখতাম তোমার সুন্দর দাঁতগুলি
আর ইশারায় বলতাম…  
মুছে নাও তোমার ঠোঁটের কালি।  
এতেই আমি হতাম খুশি  
আমি তখন সবে একুশ, আর তুমি অষ্টাদশী।


বই ফেরত দেওয়ার নাম করে…
আমায় একটা চিঠি দিয়েছিলে।
তাতে অনেক কিছু লেখা ছিল
অনেক স্বপ্নের ভিড়।
সব থেকে মন কেড়েছিল  
দুটি লাল পানপাতা আর মাঝখান দিয়ে তির।
চুরি করা আচারের দাগ লেগেছিল সাথে  
লন্ঠনের আলোয় পড়ছিলাম
তোমার মুখচ্ছবি ভেসে উঠছিলো তাতে।  
আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি তোমাকে  
চারি দিক নিশ্তব্দ।
যেন মৃণালের শীর্ষে তুমি ফুটে আছো
এক  বিশুদ্ধ পদ্ম।
মনে  ছিল ভয়, তবে আনন্দ অনেক বেশি
আমি তখন সবে একুশ, আর তুমি অষ্টাদশী।


তোমার সঙ্গে লুকিয়ে…
প্রথম বার গিয়েছিলাম রথের মেলায়।
নাগর দোয়াল পাশাপাশি বসেছি দুজনে
প্রথমবার লাগলো ছোঁয়া
তুমি তাকালে লজ্জা জড়ানো নয়নে।
তখন সন্ধ্যা পহর
বলার আর কিছু ছিল না বেশি  
দুলে চলেছি জীবন দোলায়…
আমি তখন সবে একুশ, আর তুমি অষ্টাদশী।
=============================================