দ্বাদশ বসন্ত পেরিয়ে,
এমন মুখোমুখি,
অপলক নয়নে চেয়ে থাকা-
কাঁকুড়ে পথ গিয়ে ঠেকে
তপ্ত বালিতে।
দেহ ক্লান্ত - অবসন্ন, বিষন্ন মন
প্রখর দাব দাহ শুষে নেয়
রূপ রস গন্ধ!
বিস্তৃত আকাশে শত আঁখি
খোঁজে রামধনু।
গাছের শীতল ছায়ায়
মাথায় পাখির রেচন পদার্থ,
পোশাকের ভিতর বিষাক্ত কাঠ পিঁপড়ে
ঘূর্ণি ঝড় আর বিদ্যুতের ঝলকানিতে
কেবলই হৃদকম্পন।
কখন মুঠি খুলে পড়ে গেছে জীবনের সাধ
কাঁপা গলায় উচ্চারিত ভালবাসা।
অবশেষে শান্ত আকাশ,
ব্যাঙ আর ঝিঁ ঝিঁ পোকারা দেয়
ঘোর কাটার ডাক।
গাছ গাছালির ভাঙা ডালে সবুজের প্রস্তুতি
পাখ পাখালির ভেজা পালকে ভোরের অপেক্ষা
গ্রহ - নক্ষত্র আর চাঁদের
অবাক বিষ্ময়ে চেয়ে থাকা।
আমাদের শুকনো ঠোঁট ভেজা শরীর
আর কাঁধে হাত রেখে.
জল কাদা পেরিয়ে চলা।