হ্যালো, হ্যাঁ; তোমাকে দিব্যি করে বলছি-
চুলে আমার পাঁক ধরেছে
মধ্যিখানে আবার টাঁক পড়েছে,
ঠিক কতদিন পর তোমার কন্ঠ শুনে
আধুনিক আবিষ্কার সেল ফোনের গুনে,
কেমন একটা মোচর দিয়ে উঠল
মনের গভীর কোনখানে;


আচ্ছা বলতো........
আমার সেল নাম্বারটা কোথায় পেলে?
কেনইবা এতদিনে ওটা কুড়াতে গেলে?
আচ্ছা, আচ্ছা; না-ই বা বললে,
তবে আমি কিন্তু একদম মিথ্যে বলছিনা-
তোমার কন্ঠের সেই মাদকতা এখনো বিদ্যমান
বলায় ছন্দময় সুরের লহরি আজো প্রবাহমান,
না, না- মিথ্যে প্রবোধ দিচ্ছিনে
তোমাকে ভুলানোর চেষ্টা আর করছিনে !
তাতে আজ আর লাভ-ই বা কি বল?
ওরকম রোজরোজ করতাম-
যখন তুমি কেবলই আমার ছিলে,
আর একদম ছেড়ে দিয়েছি-
যখন আমায় “স্বাধীন” করে দিলে,


কি বলছো?-তবে তো সেরেছে;
চুল ক-খানা তোমারও পেঁকেছে?
তোমার বাচ্চারা সব বড়ো বড়ো?
বেশ; এবার তাহলে ছেলেমি ছাড়ো,
আরে না, না- তোমায় ছেলেমানুষ বলিনি
ব্যথা দিতে পুরনো কথাও তুলিনি,
কি জিজ্ঞেস করলে?
পুরনো কথা সব ভুলে গেছি?
দ্যাখো, একদম বলবেনা বেশিবেশি,
বলোনা কোন তারিখটার কথা শুনতে চাও?
হ্যালো, হ্যালো- শুনতে কি পাও?
ও আচ্ছা, আনমনা হলে কেন?
স্মৃতিকাতর হলে যেন!


মনে আছে তোমার-
রঙ্গিন স্বপ্নের কতো জাল বুনতে
লেখা পড়া শেষ হবে কবে
সেই আশায় শুধু দিন গুনতে,
কতো টিপ্পনি কাটতে- “তুমি ভুলোমনা”
”প্রেম-সংসার ঠিক তোমার সাথে জমেনা”,
আমি অভিমানে বিবর্ণ হলে
তুমি মান ভাঙ্গাতে কতো ছলে-বলে
চোখে চোখ রেখে বলতে-
“তোমার ঘরনী হবো”
“আজীবন পাশেই রবো”
“ভালবাসার এক পশলা বৃষ্টি হয়ে
দেব তোমায় হঠাৎ নাইয়ে”
“তুমি ভুলোমনায় শার্টের বোতাম
উপর-নিচ করে লাগালে,
“আমি আলতো শাসানি দিয়ে
ঠিক করে দেবো আবার লাগিয়ে”
আরো কত কি!
হুউম, এখন জীবনের কয়দিন বাকি?
হ্যালো শুনছো?- ভুলোমনা আমি ঠিকই
নির্যাসটুকো মনে রেখে ভুলেছি বাদবাকি,


ও কি! দ্বীর্ঘশ্বাস ছেড়োনা
অতীত অনলে অযথা পুড়োনা,
অমন স্বামী-সংসার ক’ জনে পায়?
পেয়ে কি কেউ হেলায় হারায়?
প্রবাসী স্বামী, গহনা দামী দামী
কি লাভ হবে! এখন কামিয়ে বদনামি?
হুউম, কি বললে? চশমা?
হ্যাঁ, হ্যাঁ- চশমা কতো আগেইতো নিয়েছি
হেসোনা-হেসোনা, দাঁতে ক্যাপও পড়িয়েছি,
আর! করোনা আর ওদিকের আলাপ
চেহারায় পুড়ো বুড়ো বয়সের ছাপ,
সামনাসামনি দেখলে তোমার চোখ উঠবে কপালে
চিনতে না পেরে, পড়েও যেতে পারো ভূতলে,
হ্যালো, হ্যালো- কি হলো?
লাইনটা বুঝি কেটে গেল...।