নেহার খুব কঠিন ভাবেই বলেছিলো
তোমার মতো কাপুরুষ কবি’র
দরকার নেই, কোন-নো দরকার নেই,
আমি চাই সুকঠিন, পাহাড়ের মতো সুপুরুষ,
কিন্তু আমি তা হতে পারিনি-


আলসে করে ধ’রে রাখা হাতটা তার
এক ঝটকায় ছাড়িয়ে নিয়ে বলেছিলো
এত নরম হাতে হাত রাখতে আমি রাজি নই,
চাই লৌহ-দন্ডের মতো সু-শক্ত একজোড়া হাত
যা পাথরকেও পিষে গলাতে পারবে,
কিন্তু অমন হাত আমার ছিলনা-


সবুজ গাঁয়ের নেহার, সবুজ ঘাঁসে বসে
পিঠে লাগানো পিঠ-টা চট্ করে ঘুরিয়ে
নিয়ে; বলেছিলো, দূরাকাশের চাঁদ তারা নিয়ে
কবিতা শুনিয়ে কোন লাভ হবেনা,
বরং ওগুলো পেড়ে এনে দিতে হবে,
কিন্তু অমন সাহস আমার জুঁটে ওঠেনি-


ভ্রু কুঁচকে, ঠোঁট উল্টে নেহার বলেছিলো
নিজের পকেট শূন্য, তাই বলে কেহ
ঘূঁণেধরা সমাজতন্ত্রের জয়গান গাইবেে
এটা আমার পছন্দ না, চাই অর্থ-শ্রুতি,
কিন্তু সে শ্রুতি আমি তাকে শোনাতে পারিনি-


পার্কের বেঞ্চে বসে, পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে
মাটি চটকাতে চটকাতে নেহার বলেছিলো
“কবি” বলতেই “অক্ষম” হয়
এ প্রথাটা তোমাকে ভাঙ্গতে হবে,
আমি তার চোখের দিকে তাকাতে পারিনি।