ধীর পায়ে এলে তুমি-
চলেই যাচ্ছিলে সন্তর্পনে
যেন তোমার বিশ্বাস-ই হচ্ছিলোনা;
অস্পষ্ট লাগছিলো গোঙ্গানীর শব্দগুলো,


অনীচ্ছা, দ্যোদুল্যমানতা, অনির্ভরতা
তবু এলে, ধীর পায়ে এলে-
রক্তাক্ত দেহের কাছে


কি আশ্চর্য তুমি !
এসময়, এভাবে, এখানে?
তাও কি হয়? অবিশ্বাস্য
সাদাটে ছত্রাকে ছেয়ে গেছে
রক্তাক্ত দেহখানি-


কি বিচিত্র! নিপাট বহিরাবরন-
ততক্ষনে তোলপাড়াক্রান্ত তুমি,
অশ্রুফোটাগুলি থুঁতনি ছাড়ি ছাড়ি-


তুমি আরো ধীর, নিস্তব্ধ-
তুমি মুগ্ধ, জীবন্ত অভিনয়ে
কি নিখুঁত অভিনয়?
কোন প্রশ্ন নেই তবু
উত্তরগুলো যেন জানা-ই ছিল তোমার।


তোমার জাদুকরী ছোঁয়া-
অসম্ভব মাদকতা
সুবোধ, শান্ত, কতশত কথকতা


লতানো গুল্মগুলি রোজই ফোটে
তোমার আদরে, ভোরের শিশিরে
সাদাটে ছত্রাকগুলোর বদলে।


কখন যে গেলে তুমি
রেখে ওভাবেই- বিক্ষত
দেখা স্বপ্নগুলো প্রতিরাতেই
পরিহাস করে-দেহটি নির্জীব।


তোমার চিহ্নগুলো
চকচকে আজও
ধীর পায়ে এসেছিলে তুমি


অভাব্য ধীরে
প্রস্থান তোমার
ঘুম পাড়িয়ে.........