ডিজিটাল কন্টেন্ট যেন হয় শিক্ষণীয়।
কার্যকর এবং আরো আকর্ষণীয়।
শিক্ষার্থীদের বয়স ও শ্রেণি অনুসারে,
উপযোগী হয় যেন তা যাচাই করো তারে।
শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশ, জ্ঞান-অভিজ্ঞতা,
এদের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে যেন তা।
বয়সভিত্তিক ভাষা, সকল উদাহরণ,
উপস্থাপন পদ্ধতি করবে নির্বাচন।
নির্দিষ্ট পাঠ বা অধ্যায়ের শিখনফল জেনে,
সেই মোতাবেক তৈরি করো সঠিক নিয়ম মেনে।
নির্ধারিত জ্ঞান, দক্ষতা আর মনোভাব,
অর্জন করতে পারে— থাকবে এমনভাব।
কন্টেন্টের ভাষা হবে সহজ ও প্রাঞ্জল,
কঠিন শব্দ বা ধারণা আনে না সুফল।
বজায় রেখো সংগঠন ও ধারাবাহিকতা
বাড়বে তবে কন্টেন্টের ঐ বোধগম্যতা।
যুক্ত হলে ভিজ্যুয়াল ও অডিও উপাদান,
এতে বাড়ে কন্টেন্টের কার্যকরী মান।
ভিডিও ক্লিপ, ছবি, চিত্র, কিংবা অ্যানিমেশন,
যুক্ত হলে শিক্ষার্থীদের বাড়ে আকর্ষণ।
উপযুক্ত শব্দ, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক,
দাও ভয়েসওভার যা হবে সঠিক।
কুইজ, পাজল, ড্র্যাগ-অ্যান্ড-ড্রপ, গেম বা প্রশ্নোত্তর,
ইন্টারঅ্যাক্টিভ উপাদান যুক্ত করো অনন্তর।
মোবাইল, ট্যাব, প্রজেক্টর বা কম্পিউটারে,
ভালোভাবে চলুক— রাখো এ মান ধরে।
ফাইলের সাইজ ও ফরম্যাট এমন যেন রয়,
সহজেই যেন ডাউনলোডও শেয়ারযোগ্য হয়।
পাঠ্যবইয়ের তথ্যগুলোর হুবহু উপস্থাপন,
না করাটাই আমার মতে সঠিক চিন্তন।
থাকে যেন তার নতুনত্ব আর সৃজনশীলতা
শিক্ষার্থীদের মনে যেন রয় চিরগাঁথা।
দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব যেন ওদের মনে পড়ে,
এমন সৃজনশীলতাকে তৈরি করে।
মূল্যায়ন ও প্রতিক্রিয়ার সঠিক ব্যবস্থায়,
স্ব-মূল্যায়নের সুযোগ রয়ে যাক সেথায়।
এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সুযোগ লভে তার
প্রতিক্রিয়া জানাতে পায় -বড়ই চমৎকার।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও নীতিমালার সাথে,
সামঞ্জস্যপূর্ণতা থাকবে যেন তাতে।
শিক্ষানীতির লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য যেমন
তার সাথে তার সাদৃশ্য বা মিল থাকে তেমন।
পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু, শ্রেণির উপযোগী,
এমন বিষয় নির্বাচন হোক যুগোপযোগী।
জাতীয় সংস্কৃতি ও জাতীয় মূল্যবোধ,
প্রতিফলিত হোক- যেন তার এমন বোধ।
ধর্ম-বর্ণের বিদ্বেষমূলক, অশালীন উপাদান,
তা থেকে দূরে থাকো— সদা সাবধান!
তাতেই প্রতিফলিত হোক সামাজিকতা,
জ্ঞান, দক্ষতা, মনস্তত্ত্ব ও নৈতিকতা।