নিউটনের তৃতীয় সূত্র মনটা ছুঁয়ে যায়
নানা বাস্তব ঘটনাতে খুঁজে পাই তোমায়।
সত্যি বলছেন হাসান স্যার, কাঞ্চি হেসে কয়,
"ক্রিয়ার সাথে প্রতিক্রিয়া আছে বিশ্বময়।
নৌকা থেকে লাফ দিয়েছি নৌকা গেল সরে
কী কারণে সরে যায় তা জানতে ইচ্ছে করে। "
ঐ যে দেখো রকেট ছুটে প্রতিক্রিয়ার ফলে
পশ্চাৎ দিকে গ্যাসের ক্রিয়া সক্রিয় হয় বলে।
হাঁটা কিংবা সাঁতার কাটা সহ নানান কাজে
নিউটনের তৃতীয় সূত্র নীরব সুরে বাজে।
ক্রিয়া হলো প্রতিক্রিয়ার সমান বিপরীত
একটির দিক হলো অন্যের পুরো উল্টো দিক।
ক্রিয়া যদি ডানদিকে রয়,বামে কিসের দিক?
বামদিকে রয় প্রতিক্রিয়া- চিরন্তন সঠিক।
এমন একটি বন্দুক নাও ছয় কেজি তার ভর,
যেখান থেকে গুলি বেরোয় দেখবো অতঃপর।
উক্ত গুলির ভরের কথা বলবো কত আর!
গ্রাম দশক হয়ে থাকে পরিমাণটা তার।
প্রয়োজন মতো করে নাও একক রূপান্তর
গ্রাম থেকে কিলোগ্রাম করো অত:পর।
হাজার দিয়ে ভাগ করে নাও উক্ত গুলির ভর
গ্রাম থেকে কিলোগ্রাম :মজার রূপান্তর!
এক সেকেন্ডে তিনশ’ মিটার যাওয়ার সাহস যার,
অথবা তা গতিবেগ দেওয়া আছে তার।
গুলি যদি সৃষ্টি করে ক্রিয়া বল রে ভাই,
বন্দুকটা কী থাকবে বসে? প্রশ্ন করে যাই!
প্রতিক্রিয়া বলের সৃষ্টি করে যায় বন্দুক,
ক্রিয়া থাকলে প্রতিক্রিয়ার থাকে এরূপ সুখ।
ঐ বন্দুকের পশ্চাৎবেগ কত হবে বলো?
সকল তথ্য দেওয়া আছে, হিসাব করি চলো।
প্রথমে তাই করতে হবে m ও v-এর গুণ,
এরপরে কী করতে হবে সেটাও তোরা শুন।
বলেন প্রিয় হাসান স্যার, "ওহে গুরুজন,
আপনার সব কথা মোরা করিব শ্রবণ।"
উপরোক্ত গুণের ফলে পাবে যে গুণফল,
সেই মানটা খুব প্রয়োজন, বলরে তোরা বল!
ঐ বন্দুকের ভরের মান তোমার জানা আছে,
কিলোগ্রামে কতটুকু? বলো আমার কাছে!
বন্দুক এবং গুলির ক্ষেত্রে মোট আদি ভরবেগ
শূন্য হওয়ায় কত ওদের মোট শেষ ভরবেগ?
ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্র অনুসারে
তার মানও শূন্য হবে দেখো বারেবারে।
বন্দুক এবং গুলির তরে শেষ ভরবেগদ্বয়
সমান এবং বিপরীত চিহ্ন যুক্ত হয়।
বন্দুকের ভর M দ্বারা ঐ গুণফলের মান
ভাগ করিলে পাবে গো তার পশ্চাৎবেগের মান।
লোবা বলে "সহজ করে বলেন হাসান স্যার
পশ্চাৎ বেগের মান নির্ণয়ের কৌশল আরেকবার।"
ঐ বন্দুকের পশ্চাৎ বেগের মান টা তত শুন,
উক্ত গুলির শেষ ভরবেগ ' M ' এর যতগুণ।
ঋণাত্মক চিহ্ন থাকে, ভুলো নাকো আর,
পশ্চাৎবেগের দিক নির্দেশক বড়ই চমৎকার!
আধা মিটার পাবে তুমি প্রতি সেকেন্ডে,
বন্দুকেরই পশ্চাৎবেগ হিসাবের ফলে॥
শোনো হে শিক্ষার্থী বন্ধু হাসান স্যার কহে
বন্দুক থেকে সাবধান হও; বন্দুক খেলনা নহে।
কর্ম যদি ক্রিয়া হয়, ফল তার প্রতিক্রিয়া
'যেমন কর্ম তেমন ফল' দেখ গো ভাবিয়া।
ক্রিয়ার সৃষ্টিই প্রতিক্রিয়া মোদের বিশ্বময়
মঙ্গল কাজে করবো সবাই চিরসত্যের জয়।
বিশ্ববাসী আর হবে না নি:স্ব কোনো দিন
ইতিবাচক চিন্তা -কাজের গৌরব অমলিন!