মিষ্টি হেসে মিষ্টি মেয়ে,  
লাবণ্য আজ কয়—  
"ঘাড়ের শিরা ইংরেজিতে  
বলো তো কী হয়?"  

**‘জগুলার ভেইন’** নামেই  
ইংরেজিতে কয়,  
ঐ যে দেখো ঘাড়ের পাশে  
নীলচে শিরা রয়!  

**সি-ও-টু যুক্ত রক্ত**  
শিরায় থাকে তাই,  
বাহির থেকে শিরাগুলো  
নীলচে দেখতে পাই।  

ঘাড়ের শিরা, নীলচে শিরা—  
জগুলার ভেইন!  
দুই ধরনের হয়ে থাকে ঐ  
জগুলার ভেইন।  

**‘আই.জে.ভি’** ও **‘ই.জে.ভি’**  
সংক্ষেপে কয়,  
তবু এদের পূর্ণ রূপ  
জানতে ইচ্ছে হয়!  

প্রথমত **ইন্টারনাল জগুলার ভেইন**,  
দ্বিতীয়ত **এক্সটার্নাল জগুলার ভেইন**!  

মস্তিষ্ক, মুখ আর গলা থেকে  
উক্ত ঘাড়ের শিরা,  
রক্ত নিয়ে হৃদয় পানে  
ছুটে চলে তারা।  

মাথা ও মস্তিষ্ক থেকে  
রক্ত আনে যে—  
**আই.জে.ভি** বলি তারে  
অতি সংক্ষেপে!  

মুখমন্ডল ও চোয়াল থেকে  
রক্ত আনে যে—  
**ই.জে.ভি** বলি তারে  
অতি সংক্ষেপে!  

পুরোনো বা ব্যবহৃত  
রক্ত আনে যারা,  
তারাই হলো **জগুলার ভেইন**,  
কিংবা ঘাড়ের শিরা!  

ঐ সমস্ত রক্ত হলো  
**অক্সিজেন-বিহীন**—  
সেসব পাঠায় ঘাড়ের শিরা  
নিত্য-নিশিদিন।  

**J.V.P.**-এর প্রেসার জেনেই  
হৃদয়ের অবস্থা,  
অথবা তার * জানতে পারি
*কার্যকারিতা**!