ধাতু দিয়ে তৈরিকৃত মূল স্কেল থাকে,
ভার্নিয়ার ক্যালিপার্সে দেখে নাও তাকে।
সংখ্যায়িত করা থাকে সেন্টিমিটারে,
পরে সেটা বিভক্ত রয় মিলিমিটারে।
দশটি মিলি মিটারে এক সেন্টিমিটার হয়,
হাসান স্যারের এই কথাটি কভু মিথ্যা নয়।
সেন্টিমিটার, মিলিমিটার একক দৈর্ঘ্য হলে,
স্কেল দিয়ে খুব সহজে হিসাব করা চলে।
আরো অতি ক্ষুদ্র হলে কোনো কিছুর মান,
ভার্নিয়ার ঐ স্কেলের রয় নিখুঁত অবদান।
মূল স্কেলের পাশে থাকে ভার্নিয়ার স্কেল,
অতি সূক্ষ্ম পরিমাপে দেখায় তাহার খেল।
নিখুঁত হিসাব করাই হলো ঐ স্কেলের কাজ,
সেই স্কেলের ব্যবহার কী শিখে নেব আজ।
দুইটি শক্ত দাঁতের মতো অংশ থাকে তার,
মূল স্কেলের বাহির দিকে, দেখতে চমৎকার।
বাহিরের ব্যাস মাপার তরে প্রয়োজন হয় তার,
যেমন ধরো, বলের ব্যাসটা; মাপি আরেকবার।
বাহিরের জো ডগা যেথায়, তার বিপরীত দিকে,
ছোট দাঁতের জো ডগা থাকে ভেতর মুখে।
অভ্যন্তরীণ ব্যাস বা ফাঁপা অংশ মাপার তরে,
ছোট দাঁতের জো ডগা খুব প্রয়োজন পড়ে।
যেমন ধরো, কোনো রিংয়ের ভেতরের ঐ ব্যাস,
মাপতে হলে ছোট দাঁতের জো ডগাদ্বয় বেশ।
গভীরতা মাপার তরে সরু একটি রড,
পিছন থেকে বেরিয়ে যায়, তা হলো depth rod।
ক্যালিপার্সের পিছন থেকে বেরিয়ে আসে যা,
গভীরতা মাপার তরে মনে রেখো তা।
ছোট্ট বা লক স্ক্রুটি ঐ মাপ নেওয়ার পরে,
অবস্থান ধরে রাখে, ভুলি কেমন করে!
স্কেল যেন নাহি নড়ে, এটার নিশ্চয়ন,
উপরোক্ত ছোট্ট স্ক্রু করে সম্পাদন।
কেউ নড়াতে পারবে না তা, ছোট্ট স্ক্রু কয়,
"নড়ে গেলেই ফলাফলে নামে বিপর্যয়!
তাই আমাকে ছোট বলে করলে অবহেলা,
ফলাফলে ত্রুটি থাকে, বাড়ে মনের জ্বালা।"
ছোট্ট যারা, তারাই হলো আসল উপাদান,
মহাবিশ্বের মাঝেও কেবল তাদের জয়গান।
প্রধান স্কেল পাঠটি নেওয়া সর্বপ্রথম কাজ
ধরো, পঁচিশ মিলিমিটার দৈর্ঘ্য পেলাম আজ।
মূল স্কেলের ক্ষুদ্রতম পঁচিশ দাগের পরে
ভার্নিয়ারের শূন্য দাগ অতিক্রম করে।
পঁচিশতম দাগের পরে ছাব্বিশতম দাগ
তাদের মাঝে ছোট স্কেলের আছে শূন্য দাগ।
পঁচিশ মিলি মিটার দৈর্ঘ্য সঠিক হিসাব নয়
তার চেয়ে মান বেশি হবে এমন প্রমাণ রয়।
ছাব্বিশ মিলি মিটার হলেও হিসাব সঠিক নয়
তার চেয়ে মান কম হবে তার এটাই মূল বিষয়।
এমন ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্য হিসাব সঠিক করার তরে
ঐ ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স খুব প্রয়োজন পড়ে।
ভার্নিয়ার সমাপতন চমৎকার এক রাশি -
একক বিহীন হয়ে থাকে জানে বিশ্ববাসী।
তা হলো ঐ স্কেলের তত তম দাগ
যার সাথে মূল স্কেলের দাগ মিলে শতভাগ।
ভার্নিয়ার সমাপতন পেয়েছি আমরা ছয়
"ষষ্ঠ দাগের সাথে মিলে" দেখেছো নিশ্চয়।
মূল স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ভাগের মান
S দ্বারা প্রকাশ করি রয়েছে প্রমাণ।
মূল স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ভাগের মান
এক মিলিমিটার সমান আছে বিদ্যমান।
ভার্নিয়ারে ভাগের সংখ্যা n ধরা হয়
যার পরিমাণ দশ বা বিশ এমন সংখ্যক রয়।
VC দ্বারা প্রকাশ করি ভার্নিয়ার ধ্রুবক
এবার তারে সঠিকভাবে হিসাব করা হোক।
s কে যখন ভাগ করা হয় উক্ত n দ্বারা
তখন তুমি কী আর পাবে উক্ত VC ছাড়া?
ভার্নিয়ারের ভাগের সংখ্যা দশ যদি রয়
মিলিমিটার এককে সেই VC কত হয়?
জিরো পয়েন্ট ওয়ান হয় তা মিলিমিটারে
জিরো পয়েন্ট জিরো ওয়ান সেন্টিমিটারে।
ভার্নিয়ার সমাপতন কী V অক্ষর ছাড়া?
V ইন্টু VC লিখে মনটা মাতোয়ারা।
শূন্য দশমিক ছয় হবে ঐ গুণফলের মান
দৈর্ঘ্য পরিমাপে যাহার নিখুঁত অবদান।
ঐ ভার্নিয়ার স্কেল পাঠ উপরোক্ত গুণফল
তার সাথে কী যুক্ত করতে মন আজি চঞ্চল?
তারই সাথে যুক্ত করি প্রধান স্কেল পাঠ
তবেই পাবো দৈর্ঘ্যের তরে সর্বমোট পাঠ।
মিলিমিটার এককে তা বলো কত হয়?
হিসাব করে পাবে তুমি "পঁচিশ দশমিক ছয়" ।
মাহিয়া আর বর্ষা হেসে বলছে চমৎকার
আয়শা বলে এই কবিতা সবার উপহার!
হাফসা, মাওয়া মনের সুখে বলল,এসো সই
সুরে সুরে গানে গানে এসো সবাই কই-
"বিশ্ব মাঝে সত্য কাজে নিখুঁত যদি হই
মনের বাগে কুসুমসম ফুটবো অবশ্যই"।