নির্জনতায় ঢেকে গেছে, স্বরব প্রকৃতি
ব্যস্ততার চোখে এখনো, ক্লান্তির বিবর্ণ ছাপ
আমি আছি তার সহচর হতে, একাকী
কতটা সময় নিয়েছি এ ভাবনায়, নেই পরিমাপ।
এরই মাঝে পার হয়েছে, কত যে সময়ের পরিভ্রমণ
মহাজাগতিক, নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রদের দিকে
কখন যে আলোক পথ থেকে, বেড়িয়েছে বিন্দু ক্ষন
যাত্রা বিরতি করেছে এখানে, সময়হীন আমাকে।
মেঘেদের মাঝে তার অস্তিত্ব, ঘন থেকে ঘন হয়ে যায়
আবার ফিরে আসে, সাদা ভাসমান শিমুল তুলায়
মাঝে মাঝে নীরব বৃষ্টি নেমে যায়, জনপদ ভাসায়
ভেজায় পথ ঘাট আর লোকালয় থেকে, জনহীন অরণ্য
আমি তখনও নীড় হাতড়ে ফিরি, হয়ে বুন্য হন্য।
মধ্যরাতের রুপালী আলোতে, ভুলে গেছি পুর্নিমা
সন্তুষ্টি ঐ অতটুকুতেই ,বিন্দুমাত্র অধিকারের আশায়
ফারাকের সময় নেই, সোনা রুপা কিংবা তামায়
মেপে দেখা সুখের অস্তিত্ব , অথবা সীমা।
আজ এ মধ্যরাতের ভাবনায়, আমি দাঁড়িয়ে আছি
অভিভাবকহীন, নগরের ল্যাম্পটা হয়ে
ভেবে নিজেকে, আমি ইতিহাস বেশে আছি
যেখানে অস্তিত্বের দেয়াল, গেছে নীরবে ভাষাতে ক্ষয়ে। 
এতো মনুষ্য জীবন, সন্ধ্যার প্রদীপ জ্বেলে যায়
আলোকিত করে,ঘরে ফেরে তার পরও আঁধার বেড়ায়
                     -নগরীর অলিতে গলিতে
চলতে থাকা সময়, বিশ্রাম হীন ঘড়ির চলায়
জীবনের শেষ পাতায়, হয়তো থমকে দাঁড়ায়
মধ্যরাতে অবশিষ্ট ঘুণপোকাদের খেয়ে যাওয়া
                   -স্বপ্নের আধুরায়।