"অনাথের গল্প"
✍️ মাহমুদুল হাসান
অনাথের কেউ নেই,
বঞ্চিত সবকিছুতেই—
ভালোবাসার অধিকার,
স্বপ্ন দেখার সাহস,
চোখের জল মোছার মতোও নেই
কোনো নিশ্চিত কাঁধ।
সে জন্ম নেয় ঠিক আমাদের মতোই,
কিন্তু জীবনের সূচনা হয় এক নিষ্ঠুর বঞ্চনায়।
কোনো কাঁথা গায়ে জড়িয়ে নয়,
একাকীত্বের শীতল ঘরে,
নিঃশব্দে সে ডেকে ওঠে,
কেউ সাড়া দেয় না।
খেলাঘরের রঙিন মাঠে
তার কোনো নাম লেখা থাকে না,
স্কুলের প্রথম বেঞ্চে তার জায়গা হয় না,
মায়ের হাত ধরে ঈদের জামা কিনতে যাওয়া
তার কাছে শুধু গল্প—অথচ
আমরা সে গল্পটাকেও ছিঁড়ে ফেলি হাসত
হাসতে।
সমাজ তাকে ডাকে—"অসহায়",
অথচ সে তো সাহসে ভরপুর,
শুধু চেয়েছিল একটি আশ্রয়,
একটা নাম, একটুখানি মমতা।
তারও ছিল স্বপ্ন—
একদিন বড় হয়ে হবে ডাক্তার, শিক্ষক, পাইলট কিংবা কবি।
কিন্তু প্রতিটি স্বপ্নকে আমরা কাঁচ দিয়ে ঢেকে দিই,
বলে দিই, “তুই অনাথ, তোকে দয়া করে বাঁচতে হবে।”
কে বলেছে অনাথ মানেই দুর্বল?
সে তো আসলে এক সংগ্রামী সৈনিক,
যার পাশে দাঁড়ালে
এই সমাজের আয়না একটু পরিষ্কার হতো,
মানুষ হওয়া মানে যে কেবল রক্তের সম্পর্ক নয়
তাও আমরা হয়তো শিখে নিতাম।
একদিন হয়তো সেই অনাথ ছেলেটি
কাউকে বুকে জড়িয়ে বলবে,
“আমি জানি, কারো না থাকা কতটা ভয়ানক—
তুমি আর একা নও, এখন থেকে আমি আছি।”
২০ জুন ২০২৫.. কালুরঘাট চট্টগ্রাম।