যদি তোমাতে আমায় জায়গা করে না দাও-
আমি আজীবন রয়েযাব অসমাপ্ত নদীর মতো,
ভেসে যাব তোমার দু চোখে কোন একদিন।
যদি তোমার আকাশেতে চাঁদ হয়ে ঠাঁই না পাই,
হয়তো আমি কোন এক সময় ডুবে যাবো,
বিষন্ন আঁধারে ঘেরা অমবস্যা রাতে।
নিমেষেই নিমজ্জিত হব ওপারে
মিশে যাবো-সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে।
যে বুকে এতোদিন তোমার ভালবাসা ছিলো-
সে বুকে কষ্টে নদীর শিয়রে ঝুঁকে পড়বে
বড় বড় মাটির ঢেলা! গর্জে উঠবে
গাছের শিকর লতা,পাতা সবুজ ঘাসের ক্ষেত।
এতো কিছুর পরেও তোমার মাঝে জানি
নতুন করে আসবে অপরুপ ভোর,
তোমার মনে বেজে উঠবে দোতারা
আমার সমাধিতে গর্জে উঠা,শিশির ভেজা ঘাসে;
তোমার দুপা হয়তো করিবে খেলা।
শিতের কুয়াশায় ঘেরা ভোরে
নিথর দীঘির পারে বসে-তোমার অপেক্ষায়,
হয়তো কেউ আর থাকবেনা,
জানি তবুও আমার স্মরণে
তোমার দু চোখ ভাসবেনা!
তোমাকে ভেবে ভেবে দেখিনি পরন্ত বিকেল বেলা
ঘাসে ঘাসে ফড়িঙয়ের ওড়াওড়ি;
শুধু দেখিবার আশায়-
একটুকু তোমার মুখের হাসি!
শত বিসর্জনেও পাইনি তোমায়-
তবুও যেন রয়ে গেছে স্মৃতি গুলো সব
শুধু নেই তুমি।
(বইঃ মুক্ত পথের পথিক।)