আমি কোনো আগন্তুক নই


হাসান মাহমুদ


আমি ভিনদেশী বা আগন্তুক নই
আমার জন্ম আমার মাতৃভূমি বাংলায়,
আমি কোনো অতিথি পাখি নই
আমার আবাসস্থল বাংলা মায়ের আঙিনায়।


আমি কোনো আগন্তুক নই
আমার রক্ত কণায় বাংলা লিখা,
আমি বসন্তের কোকিল নই
আমার শিরা-উপশিরায় বাংলা আঁকা।


আমি কোনো আগন্তুক নই
আমার বিচরণ মাঠে ঘাটের পরে,
কেমনে আমি হইবো বলো
ভিনদেশী এক জন আগন্তুক এ তরে।


আমার পথের ধূলিকণা সাক্ষী
সাক্ষী ঐ আকাশের নীলাদ্রি রথ,
বৃক্ষদেবী সাক্ষী, সাক্ষী ঐ ফুল
সাক্ষী আমার আঁকাবাঁকা পথ।


আমি কোনো ভিনদেশী নই
আমার সাক্ষী আমার জোনাকির আলো,
রাতের অন্ধকারে সাক্ষী আঁধার
সাক্ষী আমার অমাবস্যার কালো।


আমি কসম করে বলছি
আমি  শিশির সাক্ষী রেখে বলছি,
আমি এদেশের সচল নাগরিক
আমি ঐ পাতাল ছুঁয়ে বলছি।


আমি বার বার বলছি
আমি কোনো আগন্তুক নই হেবাপু,
আমি হিম্মত দিয়ে বলছি
আমার সাক্ষী আমি আমার বপু।


আমি কোনো আগন্তুক নই
আমার শৈশব থেকে বার্ধক্য এখানে,
আমি কোনো ঋতুরাজ নই
আমার পিতৃ-পুরুষ ছিলো এ আবাসনে।


আমি কোনো আগন্তুক নই
আমার ইতিহাস সংস্কৃতি সব এ ভূমে,
আমি কোনো পথিক নই
আমার জীবন ধারা বাংলার রুমে।


আমি কোনো ভিনদেশী  নই
আমার ধর্ম কর্ম প্রকাশীত বাংলায়,
আমি কোনো থিয়েটার নই
যে পালা শেষে মঞ্চ ভেঙে ফেলায়।


আমি কোনো আগন্তুক নই
আমাকে যদি কেউ বলে আগন্তুক,
তার দন্ত ভেঙে দিক
অচিরেই তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হোক।