সুরঞ্জনা বলে যাও কথা
হাসান মাহমুদ


সুরঞ্জনা শুনে যাও বলে যাও কথা
ব্যথিত নয়নে কত শত মরিছে ব্যথা,
কত শত ঝর্ণার খেলা! দেখে যাও বলে যাও কথা;
শুনে যাও সুরঞ্জনা!শুনে যাও
ব্যথারা কহিছে, দহনের দগ্ধ সহিছে
ডেকেছে ইশারায়, বলেছে চুপিচুপি
এসে দেখে যাও! শুনে যাও সুরঞ্জনা।
তুমি তো রাত দেখো না
তুমি তো রাতের ঘুম দেখো না
তুমি তো ঘুমের ক্লান্তি দেখো না
এসো! দেখো!
ঘুমেরা বিছানায় এপাশ-ওপাশ খেলছে
ঘুমেরা চোখ মেলে রাতের সাথে ক্লান্তি ক্লান্তি খেলছে,
সুরঞ্জনা দেখে যাও!
শুনে যাও! তোমারি অবহেলার গীত
কত শত সুর ফেলে বসে আছে না পাওয়া বেহালা নিয়ে।
সুরঞ্জনা!
আষাঢ় গিয়ে শরৎ এলো
সেও চলে গিয়ে নবান্নের দেশে পা দিলো শীত
শীতের পৌষালি গীত গীতালি
কবির পুষ্পমাল্য পঙক্তি হলো
নানা ভাষায় নানা কথায় হয়ে উঠলো কবিতার পঙক্তি
হয়তো পৌষালির গীত শেষে
বসন্তের আগমনী সুরভী গেয়ে উঠবে
হে কবি নিরব কেন? বসন্ত এসেছে ধরায়
বরণ করে নেও কবি তোমার সহচারী কবিতায়
তবুও তুমি তোমার অসত্য, অর্ধ সত্য
দেখা দিলে না হয়তো দিবেও না!
সুরঞ্জনা শুনে নেও;
এ কবির পুষ্প রঞ্জিত মনের আকুতি
দেখে যাও  ;
এ কবির ঢেউ খেলা নয়নের উত্তাল ঢেউ।
সুরঞ্জনা! সুরঞ্জনা!
এ কবির কুড়িয়ে আনা সেই কুৎসিত বিভৎস ফুল
ফেলে দিও না;কবু স্মৃতি রেখো না।
সুরঞ্জনা!
এক বার এসে বলে যাও কথা!
কেমন আছো! বলে যাও
শুনে যাও! শুনে যাও!  বলে যাও কথা।