সুরঞ্জনা
হাসান মাহমুদ


সুরঞ্জনা!
অবশেষ যে তোমারে পাইলো
সে যেনো কমল মনের হয়
তোমাকে যেনো শান্ত গলে ডাকে
বাড়িতে ফেরিওয়ালা আইলে
তোমারে যেনো চুড়ি,দুল,নাকের ফুল কিন্না দেয়।


অবশেষ যে তোমারে পাইলো
তার যেনো ফুল প্রিয় হয়
তোমার জন্য প্রতি রাইতে
একটি করে গোলাপ,হেনা,চামেলি নিয়ে আসে
এনে কানের পাশের কেশ সরিয়ে
ফুল গুঁজে দিয়ে বলে ভালোবাসি তোমায়।


তুমি যার হলে!
তার যেনো চাঁদ প্রিয় হয়
রাতে যেনো তোমায় নিয়ে
উঠোনের গাছের নিচে বসে
চাঁদ দেখে দেখে বলে
জানো তুমিও চাঁদের মত সুন্দর।


অবশেষ তুমি যার হলে
তার যেনো বৃষ্টির মায়া থাকে
তোমার ইচ্ছে হলেই
উঠোন কিংবা ছাদেঁ তোমায় নিয়ে
অবলিলায় ভিজে আর বলে ভালোবাসি প্রিয়।
শেষে তোমায় যে পাইলো
সে যেনো নদী ভালো বাসে
জ্যোৎস্না রাইতে তোমায় নিয়ে
নদী কিনারায় গল্প নিয়ে বসে।


অবশেষে তুমি যার হলে
তার যেনো প্রিয় খাওন হয়
তোমার প্রিয় খাওন গুলো!
তোমার ইচ্ছে হওয়ার আগেই
যেনো সে বুঝতে পারে
তোমার কি খেতে ইচ্ছে হয়।


অবশেষে তোমাকে যে পাইলো
সে যেনো তোমাকেই ভালোবাসে
রাগ অভিমানে তোমাকেই
পাশে রেখে জীবন চলে।


শেষমেশ যে তোমার হলো
সে যেনো উড়ালচণ্ডি না হয়!
তোমার পাশে থেকে তোমারে
নিজের করে কেয়ার করে,
তোমার চাওয়া পাওয়ার সঙ্গী হয়।