আমার মহাশূন্যে পেতেছি একটি নক্ষত্রের আসন
প্রাকৃত হৃদয় হতে পাঠায়েছি কত শুভ্র নিমন্ত্রণ
আজ জীবনের হয়ে গেল কত খানি ক্ষয়
তবু সে আসন আজো শূন্য মনে হয় ।


শুধু মনের ভুলে ক্ষণতরে হয়েছিল মনে
এল বুঝি সে আমার মহাশূন্যের কোনে
শাশ্বত আলো জ্বেলে বন্ধু বলে ভরল আসন


কেটে গেলে ভ্রান্তি চোখের শেষে পেয়েছি যে টের
স্বপ্নের নক্ষত্রের আলো নয় সে যে
ক্ষণিক গন্ধ ক্ষণজীবী শিউলি ফুলের


এমনি করে সবাই নক্ষত্রের মত নীল আলো ঢেলে
শিউলির মত ঝরে যায়
এ আধারাচ্ছন্ন জীবনের সাথে কেউ না জড়ায়
বন্ধুত্বের শাশ্বত বন্ধনে
এসে শুধু আমার এ প্রাঙ্গণে
গাছের ছায়ায় ক্ষণিক বিশ্রাম নেয়া
পথিকের মত চলে যায়


সকল স্বার্থ বিছায়ে দিয়েছি যার পায়ের তলায়
বন্ধু ভেবেছি যারে এ জীবনে
হৃদয় মাড়িয়ে গেছে সবাই আপন স্বার্থ সন্ধানে


কল্পলোকের কবিতায় গড়েছিলাম যে বন্ধুত্বের চিত্রকল্প
মেলেনি কিছুই তার
জ্বলে পুড়ে ছারখার সবি বাস্তব দাহনে
তাই এ চেতন মনে
জেগে থাকে সারাদিন এক নির্জন আধার


শুধু অন্ধকার রাত্রি গুলো জ্বেলে দেয় আলো স্বপ্নে আমার
সেই স্বপ্নের আলোটুকু বুকে নিয়ে আজো আছি বেচে
জগতের যত বন্ধুত্বের সং আজ মনে হয় মিছে


তাই অনুভূতির সমুচ্চ সীমায় দেবনা কারেও স্থান
ভালোবেসে এ বুকে নিরবে আর জমাব না অভিমান
সকল বন্ধন ছিন্ন করে
অবশেষে ফিরেছি আপন ঘরে
নিঃসঙ্গতাকে করেছি বন্ধু কল্পনাকে প্রেমিকা
সকল দুয়ার বন্ধ করে স্মৃতির প্রেক্ষাগারে
কেবল আমি একা ! শুধু একা !!