একদিন তুমি ছিলে
তাই শরতের গোধূলি বিকেলে
নীল আকাশ তলে
কাশের গুচ্ছের মত পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘ করেছিল ভিড়
নীড় বেঁধেছিল দুটি পাখি
শিমুলের ডালে
সোনালি সকালে সবুজ ঘাসের ’পরে
ছড়ানো ছিলো শিউলি শিশিরে
দখিন হাওয়া নরম কাশের বনে
নদীর ঢেউয়ের মত দিয়েছিলো দোল
তোমার আঁচল হয়েছিল আমার স্বপ্ন ভূমি
স্বপ্ন আমার ফলেছে সেথায় অবিরত ঘাসফুলের মত
নিবিড় হয়ে রোজ রাতে নক্ষত্র ফলে ওঠে আকাশ আঁচলে যেমন


তুমি ছিলে বলে
বর্ষার ধারা জলে ভিজেছে কদম বন
তোমার পায়ের নূপুরে মিসেছে বিৃষ্টির রিমঝিম
আফিম সেবনে নেসার মতন
সে ধ্বনি আমার শ্রুতিতে বাজে সারক্ষন


তুমি ছিলে
ছিলো দুচোখে রংবাহার
ফিরোজা গোলাপি বেগুনি নীল
ফুল পাখি নক্ষত্র মেঘ প্রজাপতি শঙ্খচিল


তিুমি ছিলে তাই
ছিলো নানা সুর
পাখির গান সুমধুর
মধুপ গুঞ্জন
নদীর ছল ছল
পাতার মর্মর
আর তোমার নূপুর


তুমি ছিলে বলে
আমার আসাদ পেয়েছে কত স্বাদ
তীব্র মিঠে চুম্বন মদিরা শরীরের নোনা স্বাদ


তুমিযে আমার নেই এখন আর
তাই বন্ধ হয়ে গেছে আমার পাঁচটি জানালা
আমার ঘরে আজ অন্ধ অন্ধকার
যেন পোড়া কালো কয়লা
জমেছে আমার ঘরে বরফে ঢাকা পাহাড়ের মত
শীতল নিস্তব্ধতা,
নোনা অশ্রু, তেতো ব্যথা,
ঝাঁঝালো হৃদয় পোড়া গন্ধ বরুদের মত, রুদ্ধ করে শ্বাস
আর ভাগাড়ের মত স্তূপীকৃত মৃত স্বপ্নের পচা লাশ