মহাজনের এই ছোট্ট মা মরা দুঃখী ভালো
সুন্দর মেয়েটারেই সে তার ছেলের বউ করে
আনবে, চাষার ছেলে বলে, মহাজন হয়তো
প্রথমে রাজী হবে না, হতে চাইবে না, কিন্তু
তার ছেলের মত জজ ব্যারিস্টার ছেলে কি
আর মহাজন এই গ্রামে তার মা মরা দুঃখী
মেয়ের জন্য পাবে, তাছাড়া ঘরে সৎ মা,মা
মরলে বাপ হয় তালুই। তাই শেষমেশ সে
হয়তো মেনে নেবে । একদিন “চাষার বাচ্চা”
বলে গালি দেয়া চাষার ছেলেই সেদিন হবে
মহাজনের মেয়ের জামাই,ছেলের সুখ চিন্তায়,
নিজেকে এই ছেলের বাবা ভেবে চাষার শীর্ণ
মুখ উজ্জল হয়ে ওঠে খুশী আর গর্বের হাসিতে।    
    
ছেলে তার প্রাইমারী পাশ দিয়েছে, গ্রামের
স্কুলের ভালো জগেন মাস্টার এতদিন যে
তার ছেলেরে পড়া দেখিয়ে দিয়েছে বিনা
পয়সায়, সেই জগেন মাস্টার বলেছে তার
ছেলের এই গ্রামের ফ্রির স্কুলের পড়ার পাঠ
শেষ, ছেলেরে গঞ্জের হাই স্কুলে পাঠাতে
হবে, অনেক খরচ, এতো আর ফ্রীর স্কুল
না,বেতন দিতে হবে,বই কিনে দিতে হবে,
মাস্টারের কাছে পড়ার খরচ, স্কুলে আসা
যাওয়ার খরচ,স্কুলের নতুন জামা কাপড়ের
খরচ,খাতা কলমের খরচ, আরও কত কি ।  


বিদ্রঃ আজ প্রকাশিত হল পাঁচ পর্ব বিশিষ্ট লেখা “স্বপ্ন চাষাদের জন্য নয়” কবিতার চতুর্থ পর্ব । ইচ্ছে বিলাস ও এই সিরিজ পাশাপাশি চলবে।উৎসর্গ গ্রাম বাংলার সব খেটে খাওয়া ফসলের কারিগর চাষি ও আপামর মেহনতি মানুষদের ।      


রচনাকালঃ ০৫-১০-১৩