এ কলম দিয়ে রোজকার হিসাব নামচা লিখি,
দৈনন্দিন বাজার সদাইয়ের খুচরো হিসাব রাখি,
অর্থহীন আঁকিবুঁকি কাটি, কোন প্রিয় মুখ আঁকি,
আবার কখনো হাতের নাগালে না পেলে পিঠ
চুলকানোর কাজেও ব্যবহৃত হয় এই কলম ।
মাঝে মাঝে এ কলম ব্যবহৃত হয় সহসা কান
খোঁচানোর মত মামুলী কিন্তু জরুরী কাজেও ।  
তোমরা খুব সহজেই এ সাধারন কাল কালির
বলপয়েন্ট কলমটিকে বাদবাকি কলমের মতই
ফেলে দিয়েছিলে অগণিত সাধারণের এক দলে,
প্রচলিতের বাতিল খাতায় স্থান দিয়েছিলে একে।  
তোমরা ভুলে গিয়েছিলে এ লেখকের কলমও
বটে, এ কলমের আলাদা জীবন আছে, আলাদা
সত্ত্বা আছে, আলাদা বিবেকবোধ, নিজস্ব চেতনা
ও বিচারবুদ্ধি আছে, এই কলম যেমন আর দশ
পাঁচটা সাধারন কলমের মত ঘর গৃহস্থালি করতে
পারে তেমনি পারে মানব চেতনায়, সমাজ দেহে
ছড়াতে শান্তির শ্বেত বানী আবার প্রয়োজনে কঠিন
বজ্র আঘাতে পারে রক্ত ঝরাতে, রক্ত দিতেও পারে,
রক্ত নিতেও পারে, বইয়ে দিতে পারে লাল রক্তগঙ্গা ।


বিদ্রঃ আজ প্রকাশিত হল তিন পর্ব বিশিষ্ট লেখা “স্ক্যালপেল” কবিতার দ্বিতীয় পর্ব । তৃতীয় ও শেষ পর্ব সামনে আসবে ।