অধুনা টেলিস্কোপিক ক্যামেরার দিগন্তভেদী
অনাহারী টেলিফটো লেন্সের দুর্বিনীত ক্ষুধা অনায়াস
ছুঁতে চায় জোস্ন্যা স্নানসিক্ত অপ্রস্তুত চাঁদের বিবসনা
শরীরের নিগুঢ়। আকাশখেকো স্যাটেলাইট ক্যামেরার
কসমিক চোখের অবারিত দুঃসাহস খুঁজে ফেরে
সূর্যের গোপন আঁধার, আলোকবর্ষের গহীন গর্ভে
খুঁজে ফেরে সুদূর নক্ষত্রবীথির নাজুক ক্ষত,
ছায়াপথ থেকে ছায়াপথে চলে অতৃপ্ত লেজার বিম সার্চ ।


উচ্চাভিলাষী DSLR ক্যামেরা শাটারের স্পর্ধিত
মাঝব্লেডে নির্মম কাঁটা পরে যায় উদ্ভিন্ন উর্বশীর
ডানাকাটা অনন্ত যৌবন, সুদৃশ্য বাণিজ্যিক মোড়কে
ভালোবাসা বিকিনিকির ক্ষুধিত বাজার অবাধ ছেয়ে
যায় কোমলমতি নাজুক নারীর নিজস্ব অলিগলি,
খানাখন্দের শরীরময় প্লাবনের গোপন সুড়সুড়িতে ।  
অতৃপ্ত আদিম কামে উদ্বেলিত হয় নির্লজ্জ নপুংসক
যৌবন । ক্যামকোডারের ফ্লাশময় লম্পট আলোর
বিবেকহীন ঝলকানি আজ কেবলই খুঁজে ফেরে নিষিদ্ধ
গোপন আঁধারের জ্বালামুখ । মাল্টিশট ক্যামেরার নিখুত
জুমলেন্স গিলে খায় আলোকোজ্জ্বল সেলিব্রেটি জীবনের
ব্যক্তিগত গ্রহণ, হৃদয়হীনতার ফ্রেমবন্দী হয় পরিপাটি
শরীরের ভাজে লুকিয়ে থাকা বাণিজ্যিক উপঢৌকন ।


বিদ্রঃ দুই পর্বে সমাপ্য । আজ প্রথম পর্ব দিলাম, সামনে দ্বিতীয় পর্ব আসবে ।