আত্মমগ্ন মানুষ প্রসারিত পথের উদার বুক নির্বিকার মাড়িয়ে
অবিরত ছুটে চলে গতির নেশায়, কেউ সাফল্যের দিকে যায়,
কেউ বা ভালোবাসার দিকে যায়, কেউ যায় মসজিদে, কেউ
যায় মন্দিরে, কেউ বা যায় গির্জায়, আবার কেউ কেউ কোন
বিশেষ উদ্দেশ্য ছাড়াই লাগামহীন ছুটে চলে পথ থেকে পথে,
আবার নষ্ট জীবনের মোহময় হাতছানিতে কেউ বা নিষিদ্ধ
আঁধারকেই বেছে নেয় পথ শেষের গন্তব্যের ঠিকানায়,
মোট কথা পথকে আপন ভেবে কেউ তাকে দু দণ্ড সঙ্গ
দেবার কথা ভাবে না, পথের সাথে মন খুলে দু টি কথা
বলে কেউ নষ্ট করেনা জীবনের একবিন্দু ক্ষয়িষ্ণু সময়,  
জন্ম, প্রনয়, পরিনয়, মৃত্যু,শবযাত্রা সবকিছুতেই পথ
থাকে নীরব দর্শক, সে কেবলই থেকে যায় প্রকাশ শুন্য।  


ধরণীর বুকে নেড়ি কুকুরে খাওয়া উচ্ছিষ্টের মত ধুলি
শয্যায় অনাদরে পড়ে থাকা বহুতর যাতায়াত মলিন
নিঃস্পৃহ উদাস পথের ধারে তারচেয়ে নিঃস্পৃহতায়
অমীমাংসিত রহস্যের নিজস্ব নিগুঢ়তম স্বত্বার মত
অপ্রবেশের দুর্লঙ্ঘতায় ঘেরা এক ইটলাল বিপুল
রহস্য ইমারত হিমশীতল মৃত্যুময় নীরবতা নিয়ে
দূর প্রেতলোকের অশুভ কান্নার মত ভীতিকরভাবে
অনন্তকাল ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে মহাকালের প্রেক্ষাপটে ।  


সেই মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত কয়েদখানার মত ভাবগম্ভীর লাল
ইমারতের তুমুল গোপনীয়তা অক্ষত কুমারী যোনীর মতই
বাইরের চর্মচক্ষুর নির্দোষ চাহিদায় কখনো ধরা দেয়না ।


বিদ্রঃ প্রথমে তিন পর্ব হবার কথা থাকলেও লেখার পরিপূর্ণতার স্বার্থে একটু বাড়াতে হয়েছে তাই এই লেখাটি এখন পাঁচ পর্ব হবে । আজ দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশিত হল । কবিতাটি পুরোটাই পুনঃবিনস্ত হয়েছে তাই আগে যারা প্রথম পর্ব পড়েছেন আজ তাদের অনুরোধ দ্বিতীয় পর্ব পড়ার সময় দুই পর্ব এক সাথে পড়তে তাহলে বোঝা সহজ হবে কারন প্রথম পর্বে কিছু নতুন লাইন সংযোজিত হয়েছে এবং প্রথম পর্বের কিছু লাইন দ্বিতীয় পর্বে চলে এসেছে । বাকি তিন পর্ব সামনে আসবে। এই অনিচ্ছাকৃত বিড়ম্বনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত ।