আমিঃ কেমন আছেন ?
সেঃ আপনাকে তা বলতে যাব কেন ?
আমিঃ মানুষ কি মানুষের খবর নিতে পারে না ?
সেঃ কেউ কেন যেচে অচেনা কারও খবর নিতে যাবে ?
আমিঃ কথা না বললে কি করে চেনা জানা হবে, জন্ম থেকে
কি কেউ কারো পরিচিত হয়ে থাকে ?
সেঃ কারন ছাড়া সেধে কেউ কেন কারো সাথে পরিচিত হবে
বা কথা বলবে ?
আমিঃ মানুষ কি মেশিন বা কম্পিউটারের মত যে বিধিবদ্ধ
নিয়মের বাইরে কিছু করতে পারবে না ?
সেঃ মানুষ অনুভূতিশীল কিন্তু তাই বলে কোন আলাপচারিতায়
উভয় পক্ষের সমান ইচ্ছে না থাকলে তা কি স্বাভাবিক ও
স্বতঃস্ফূর্ত হয় ?
আমিঃ মানুষ তো সহজাতভাবেই সামাজিক তাহলে দুই পক্ষের
সদিচ্ছা থাকা কি সহজাত নয় ?
সেঃ অপরিচিত কারো সাথে কোন কাজের কথা ছাড়া কথা বলার
ইচ্ছে থাকতে যাবে কেন ?
আমিঃ পরিচিত না হলে বা কাজের কথার বাইরে মানুষের কি আর
কোন কথা বলার থাকতে পারে না ?
সেঃ অপরিচিতের সাথে বিনা কাজে কথা বলা কি আসলে উটকো
সময় নষ্ট করা নয় ?
আমিঃ কথা না বলে সেটা আগে থেকে কি করে ধরে নিচ্ছেন ?
সেঃ সেটাই কি বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নয় ?
আমিঃ নতুন পরিচয়, নতুন কথা থেকে কি নতুন সম্পর্ক হতে
পারে না ?
সেঃ রক্তের সম্পর্কের বাইরে বেশীর ভাগ সম্পর্কই কি স্বার্থের সম্পর্ক
নয় ?
আমিঃ ব্যতিক্রম কি কিছুই নেই, জন্ম থেকেই কি সব সম্পর্ক তৈরি
হয়ে থাকে ?
সেঃ বিনা কারনে কোন নতুন সম্পর্কে জড়িয়েই বা কি লাভ ?
আমিঃ জীবনে যা চান সব কিছু কি ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন ?
বিদ্রঃ সাত পর্বে সমাপ্য। আজ প্রথম পর্ব প্রকাশিত হল। সামনে বাকি ছয় পর্ব আসবে। প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন করলে নাকি আই কিউ স্কেলে সেটাকে বুদ্ধাঙ্কের উচ্চমাত্রা ধরা হয়, তাহলে প্রশ্ন হল কতক্ষণ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব এই প্রক্রিয়া বা কতটা সফলতার সাথে Communicate করা যায় এভাবে ? “আমি” এবং একজন কল্পিত অপরিচিত মেয়ে, যাকে “সে” হিসেবে দেখানো হয়েছে, ভেতর কথোপকথন ঘরানার নতুন ধারার পরীক্ষামূলক এ লেখার ভেতর দিয়ে সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি । তাই এই লেখাটি একটু মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এর সব কয়টি লাইনই আসলে প্রশ্নবোধক । আলাপচারিতা ধাচের এই লেখাটি প্রশ্ন, তার উত্তরে আবার প্রশ্ন, সেই প্রশ্নের ভেতরই জবাব এবং আবারো প্রশ্ন, এভাবে চলবে অন্তহীন । একটি যায়গায় এসে থেমেছি কিন্তু এর পরও আরও অনেক কিছু বলার রয়ে গেছে । এই ধারা কেমন লাগলো জানালে সুখী হব । ধন্যবাদ ।