সেঃ বর্তমান নিয়ে সন্তুষ্টি থাকলে নতুন সম্পর্কে অনেকের আগ্রহ
    
     না থাকাটাই কি স্বাভাবিক নয়, তাছাড়া নতুন সম্পর্ক তো নতুন
    
    ঝামেলাও বাড়াতে পারে না, তাই না ?


আমিঃ নতুন সম্পর্ক তো নতুন দিগন্তের সুচনাও হতে পারে,
      
      নয় কি ?


সেঃ খারাপ দিক ধরে নিয়ে ভাবলে কি ঝামেলা এড়ানো সহজ
    
    হয় না ?


আমিঃ এভাবে ভাবা কি অনেকটা শামুকের মত খোলসের ভেতর
        
     নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার মত নয় ?


সেঃ  এভাবে বিনা প্রয়োজনে অজানা বিপদের ভেতর নিজেকে
      
      জড়ানোর চেয়ে কি নিজেকে গুটিয়ে রাখাই বুদ্ধি মানের
      
      কাজ নয় ?


আমিঃ এভাবে নিজেকে গুটিয়ে রাখলে কি জীবন বৈচিত্র্যহীন ও


    একঘেয়ে হয়ে পড়ে না ?


সেঃ বর্তমান জীবন ও জগৎ নিয়ে সুখী থাকলে জীবন বৈচিত্র্যহীন
    
   ও একঘেয়ে হবে কেন ?


আমিঃ এমন কি হতে পারেনা যে আপনার জীবনের সবচেয়ে
      
     প্রিয় মানুষটির দেখা আপনি পাননি ?


সেঃ কি করে বুঝবো যে কে হবে আমার ভবিষ্যতের কাছের বা

    প্রিয় মানুষ ?


বিদ্রঃ সাত পর্বে সমাপ্য। আজ দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশিত হল। সামনে বাকি পাচ পর্ব আসবে। প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন করলে নাকি আই কিউ স্কেলে সেটাকে বুদ্ধাঙ্কের উচ্চমাত্রা ধরা হয়, তাহলে প্রশ্ন হল কতক্ষণ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব এই প্রক্রিয়া বা কতটা সফলতার সাথে Communicate করা যায় এভাবে ? “আমি” এবং একজন কল্পিত অপরিচিত মেয়ে, যাকে “সে” হিসেবে দেখানো হয়েছে, ভেতর কথোপকথন ঘরানার নতুন ধারার পরীক্ষামূলক এ লেখার ভেতর দিয়ে সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি । তাই এই লেখাটি একটু মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এর সব কয়টি লাইনই আসলে প্রশ্নবোধক । আলাপচারিতা ধাচের এই লেখাটি প্রশ্ন, তার উত্তরে আবার প্রশ্ন, সেই প্রশ্নের ভেতরই জবাব এবং আবারো প্রশ্ন, এভাবে চলবে অন্তহীন । একটি যায়গায় এসে থেমেছি কিন্তু এর পরও আরও অনেক কিছু বলার রয়ে গেছে । এই ধারা কেমন লাগলো জানালে সুখী হব । ধন্যবাদ ।