আমিঃ নিজেকে এভাবে গণ্ডিবদ্ধ করে রাখলে কি করে নতুন
মানুষের ভেতরে সেই প্রিয় মানুষের সন্ধান পাবেন ?
সেঃ কেউ যদি আমার ভাগ্যের লিখন হয় সেই কি আমাকে খুজে
নেবে না ?
আমিঃ কোন সম্পূর্ণ মানবিক সম্পর্ক কি এমন একতরফা
ভাবে বা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে হতে পারে ?
সেঃ খোলা মন নিয়ে পথ চললে কি ভুল মানুষের সাথে
জড়িয়ে পড়তে হতে পারে না ?
আমিঃ ভুল শুদ্ধ নিয়েই কি মানুষের জীবন নয়, ভুল থেকেও
কি কিছু শেখার নেই?
সেঃ তাই বলে কি জেনে শুনে ভুল করা বুদ্ধিমানের কাজ ?
আমিঃ নতুনকে জানা, মানুষকে জানা কি জেনে শুনে ভুল করা ?
সেঃ কি লাভ অনর্থক পরিনতিহীন কথায় সময় নষ্ট করে ?
আমিঃ পরিনতিহীন বা সময় নষ্ট সে আগে থেকে কি করে
ধরে নিচ্ছেন ?
সেঃ অপরিচিত সম্পর্কহীন কারো সাথে কি কোন কাজের কথা
থাকে ?
আমিঃ আসলেই কি আমি আপনার কিছু হই না বা আমার সাথে
কোন কথা থাকতে পারে না ?
সেঃ আসলেই কি আপনি আমার কিছু হন বা আপনার সাথে আমার
কোন কথা থাকার কথা ?
আমিঃ মানুষ কি জন্মলগ্ন থেকেই স্বজাতি হিসেবে সামাজিকভাবে
একসুত্রে গাথা নয় ?
বিদ্রঃ সাত পর্বে সমাপ্য। আজ তৃতীয় পর্ব প্রকাশিত হল। সামনে বাকি চার পর্ব আসবে। প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন করলে নাকি আই কিউ স্কেলে সেটাকে বুদ্ধাঙ্কের উচ্চমাত্রা ধরা হয়, তাহলে প্রশ্ন হল কতক্ষণ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব এই প্রক্রিয়া বা কতটা সফলতার সাথে Communicate করা যায় এভাবে ? “আমি” এবং একজন কল্পিত অপরিচিত মেয়ে, যাকে “সে” হিসেবে দেখানো হয়েছে, ভেতর কথোপকথন ঘরানার নতুন ধারার পরীক্ষামূলক এ লেখার ভেতর দিয়ে সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি । তাই এই লেখাটি একটু মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এর সব কয়টি লাইনই আসলে প্রশ্নবোধক । আলাপচারিতা ধাচের এই লেখাটি প্রশ্ন, তার উত্তরে আবার প্রশ্ন, সেই প্রশ্নের ভেতরই জবাব এবং আবারো প্রশ্ন, এভাবে চলবে অন্তহীন । একটি যায়গায় এসে থেমেছি কিন্তু এর পরও আরও অনেক কিছু বলার রয়ে গেছে । এই ধারা কেমন লাগলো জানালে সুখী হব । ধন্যবাদ ।