চন্দ্রবিন্দুর নক্ষত্রহীন আকাশ থেকে পাঠ জর্জরিত চাঁদ
অকস্মাৎ খসে গেলে আহ্নিক গতিহীন ভাষা পৃথিবীর
ভাব জনপদে নেমে আসা আঁধারের মহামারী অকাতর
চুরি করে নিয়ে যায় দূর নীলিমার সবটুকু বিশুদ্ধ নীল,
আকাশহীন পৃথিবীর ভোগী মানুষের জন্য আজন্ম
অভিশাপ হয়ে পড়ে থাকে স্বপ্নহীন সুদীর্ঘ জীবন ।


স্খলিত সময়ের পিঠে চড়ে সামাজিক স্বীকৃতিহীন
পলাতক আধারের ভ্রূণ নিরাপদ মাতৃ জঠরের বুকফাটা
প্রত্যাশায় সশব্দে কড়া নেড়ে ফিরে যায় অনিচ্ছুক নাগরিক  
পিতৃত্বের আলোহীন নতমুখ চেতনার বন্ধ দুয়ারে ।


নরকের আগুনের দাবদাহে বহুমুল্য সিগারের অরক্ষিত
সতীত্ব অকস্মাৎ লুটে নিয়ে নিকোটিনের বিষে জ্বলে
খাক হয়ে যায় বেড়ে ওঠা লকলকে স্বপ্নের নাজুক বীজ,
প্রাপ্তিহীন প্রত্যাশার অজস্র কান্নাভেজা বারুদে পরিণতিহীন
আগুন দিয়ে মুক্তির প্রত্যাশায় কাদে মানবতার নির্ঘুম ।