- পকেট থেকে তোমরা মালিককে টাকা দাও এই লোকভুলানো
আজগুবি কথা আমাকে বইল না, যারা কিছু জানে না তাদের
বইল, আমার পরিচিতের ভেতর কয়েকজন গাড়ী মালিক আছে,
তাদের সবসময় দেখেছি, ড্রাইভার আর কন্ট্রাক্টরা তাদের টাকা
মেরে দেয় বলে অভিযোগ করতে, ঘটনা আসলেই তাই দিনশেষে
তোমাদের সবার পকেটেই কিছু না কিছু উপরি থাকে ...

- নাহ বস, সবাই এক না, আমরা খাইট্যা খাই, বড় বড়
লোকের মত চুরি করি না, কম পড়লে ঠিকই পকেট থেইক্যা
দিতে হয়, মালিক খুব কড়া এই গাড়ীর, পাই পাই হিসাব দিতে
হয়, দিলে সে হাতে তুইল্যা দিব কিন্তু হিসাবের বেলায় কোন
গড়মিল চলত না, তয় অস্বীকার করবো না মাঝে মইধ্যে
থাকলে বড়জোড় বিড়ির দুই পাঁচ টাকা থাকে ...

- বিড়ি ফুইক্যা ফুইক্যাই তো সব শেষ কইরা দিলা ...

- গাড়ীর লাইনে সারসদিন যে খাটনি, বিড়ি না খাইলে রাইতে
শরীর কেমন জানি ম্যাজ ম্যাজ করে ...

- এখন বিড়ি খাবা, আর কয়দিন পর গাঁজা, তারপর মেয়েমানুষ...

- গু সব মাছেই খায় কিন্তু দোষ হয় খালি টাকি মাছের ...  

- কথা তো কও পাকা পাকা, বাড়ী কোন জেলায় ?

- ক্যান বাড়ীর কথা জিগ্যান ক্যান, কথা কি ভুল কিছু কইছি ?

- না ভুল কও নাই, বেশী ঠিক কইয়া ফালাইছ, তাই বাড়ীর
কথা জিগাইলাম ...

বিদ্রঃ আজ প্রকাশিত হল নিম্ন ও মধ্যবিত্যের গন্তব্যে পৌঁছানর বাহন ঘিরে রচিত“লোকাল সার্ভিস” সিরিজের সপ্তম পর্ব । প্রতিনিয়ত চলমান পথ থেকে পরিনতির গন্তব্যে ছুটে চলা রংচটা লোকাল সার্ভিস ও তার সাথে জড়িত কিছু আপামর মানুষের গাথাই উপজীব্য হয়েছে এই বহুমাত্রিক Dialogue ঘরানার লেখায় । আপাতত পনের পর্ব লেখা হয়েছে । পর্ব সংখ্যা ১৫ তে সীমিত রাখার ইচ্ছে ছিল । কিন্তু লেখার পূর্ণতার প্রয়োজনে আরও বারতেও হবে । সবাইকে পড়া ও কেমন লাগলো এই প্রয়াস তা জানানোর আহ্বান রইল ।