- সারা দেশে, সব ক্ষেত্রেই তো দেখি একই বেহাল অবস্থা,
কিছুতেই আর কারো কিছু এসে যায় না, খালি নিজের লাভ
ক্ষতির বেলায় হিসাবের নাড়ি একেবারে টনটনে, আর এই
ট্রান্সপোর্টের লোকের দেখছি কোন কথাই একদম গায়ে লাগে
না, যত যাই বলা হোক এরা এদের যা করার তা করবেই ...

- তা যা বলছেন, রাজনীতিবিদ থেকে ব্যবসায়ী প্রায় সবাই
আজ এক গোয়ালের গরু, আর পরিবহন লাইনের শ্রমিকদের
চামড়া সত্যিই অসম্ভব মোটা, আপনি যাই বলেন না কেন,
কিছুই ওদের গায়ে লাগে না ওদের কিছুতে কিছু আসে যায়
না, দেখলেন না কন্ট্যাক্টর গালি দেয়া নিয়ে কি বলল, আর
ড্রাইভারের মুখের কি ভাষা, বলিহারি যাই...  

- অনেকদিন আগে ভালুকের চামড়া নিয়ে কোথায় যেন একটা
কৌতুক পড়েছিলাম, এক লোক শ্বশুরবাড়ী যাচ্ছিল, পথিমধ্যে
একটি ভালুক দেখে বিশেষ কিছু না ভেবেই সে একটু সুড়সুড়ি
দিল, পরে সে শ্বশুরবাড়ী এক সপ্তাহ বেড়িয়ে ফেরার পথে
দেখল একটি ভালুক হাসতে হাসতে ধুলোয় গড়াগড়ি খাচ্ছে,
সে যে এই ভালুকটিকে শ্বশুরবাড়ী যাবার পথে সুড়সুড়ি দিয়ে
গিয়েছিল ইতোমধ্যে সেটা সে বেমালুম ভুলে গিয়েছিল, তাই
লোকজনকে ভালুকের হাসির কারন জিজ্ঞেস করলে তারা
তাকে ঐ ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে বলল ঐ যে আপনি এক
সপ্তাহ আগে এই পথ দিয়ে যাবার সময় এই ভালুকটিকে
সুড়সুড়ি দিয়ে গিয়েছিলেন, তাই এখন তার সুড়সুড়ি পেয়েছে ...

বিদ্রঃ আজ প্রকাশিত হল নিম্ন ও মধ্যবিত্যের গন্তব্যে পৌঁছানর বাহন ঘিরে রচিত“লোকাল সার্ভিস” সিরিজের পঞ্চদশ পর্ব । প্রতিনিয়ত চলমান পথ থেকে পরিনতির গন্তব্যে ছুটে চলা রংচটা লোকাল সার্ভিস ও তার সাথে জড়িত কিছু আপামর মানুষের গাথাই উপজীব্য হয়েছে এই বহুমাত্রিক Dialogue ঘরানার লেখায় । আপাতত পনের পর্ব লেখা হয়েছে । পর্ব সংখ্যা ১৫ তে সীমিত রাখার ইচ্ছে ছিল । কিন্তু লেখার পূর্ণতার প্রয়োজনে আরও বারতেও হবে । সবাইকে পড়া ও কেমন লাগলো এই প্রয়াস তা জানানোর আহ্বান রইল ।