- এবার বাবা বিরক্ত হয়ে বলল, তাহলে কি তুই সন্ত্রাসী হতে চাস ?
ছেলে হেসে বলল, না বাবা, এই সন্ত্রাসীরাই তো এই চক্রের শেষ
ধাপ নয়, এদের কারা চালায় জানো ? এদের চালায় যারা ছাত্র জীবনে
এদের চেয়ে খারাপ, বাবা জানতে চাইলেন, তারা কারা ? ছেলে
উত্তরে বলল তারা হল রাজনীতিবিদ ও নেতা । আমি তাই বড়
হয়ে রাজনীতিবিদ হতে চাই, ছাত্র জীবনে পড়াশোনার কষ্ট করতে
হবে না, কোন নিয়ম কানুন মানতে হবে না, যা ইচ্ছে তাই করা
যাবে, ভোগ বিলাসে সময় কাটানো যাবে, অথচ সামনে উজ্জ্বল
ভবিষ্যৎ, খালি একটু লজ্জা শরম আর নীতি ঠিতির বালাই না
থাকলেই চলবে, এ আর এমন কি ? তোমার ভালোমানুষের
রক্ত একটু বাধা দেবে, কিন্তু লাভের পাল্লা ভারী হলে মনও
ওসব ভুলে যাবে, পেটে খেলে পিঠে ঠিকই সইবে, বাবা রেগে
গিয়ে বললেন তুই এইসব কি বলছিস, টাকা পয়সা আর ক্ষমতাই
কি সব, নীতি, সততা, ধর্ম এগুলোর কি কোন দাম নেই ?


- এই বাচ্চা ছেলেটি বাবার এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি
সেদিন, আর আমাদের রাজনীতিবিদরা এসব নিয়ে হয় ভাবে
না অথবা কেয়ার করে না ।


- তারা হয়তো ভাবে এক জীবনে তো আর সব কিছু পাওয়া
যায় না, তাই যা আমাদের ভাগ্যে নেই তা নিয়ে ভেবে দুঃখ
করার কোন অর্থ হয় না ।


বিদ্রঃ আজ প্রকাশিত হল নিম্ন ও মধ্যবিত্যের গন্তব্যে পৌঁছানর বাহন ঘিরে রচিত“লোকাল সার্ভিস” সিরিজের চতুর্বিংশ পর্ব । প্রতিনিয়ত চলমান পথ থেকে পরিনতির গন্তব্যে ছুটে চলা রংচটা লোকাল সার্ভিস ও তার সাথে জড়িত কিছু আপামর মানুষের গাথাই উপজীব্য হয়েছে এই বহুমাত্রিক Dialogue ঘরানার লেখায় । সবাইকে পড়া ও কেমন লাগলো এই প্রয়াস তা জানানোর আহ্বান রইল