-সেটাও ঠিক আছে, সেসময়ে ব্রিটিশরা সমস্ত বিশ্ব জুড়েই
ব্যবসার ছলে এই লুটপাট চালিয়েছে, আমি আগেই বলেছি
ব্যবসার নামে সাড়া বিশ্ব জুড়ে এতো বিশাল উপনিবেশ তারা
কায়েম করেছিল যে সেসময় রানী ভিক্টোরিয়ার রাজ্যে সূর্য অস্ত
যেত না, তবে আমরা আমাদের দেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক
নেতৃত্বের চরিত্র বিশ্লেষণমূলক যে পর্যালোচনা করছিলাম তার
সাথে সম্পর্কিত ব্রিটিশদের এই বিভাজন নীতি নিয়ে আরেকটু
অন্তর্নিহিত  ও ভিন্নমাত্রিক বিশ্লেষণে যাব,  ব্রিটিশরা তাদের এই
ঔপনিবেশিক শাসন আমলের শেষ পর্যায়ে একটা সময়ে এসে
যখন বুঝতে পারল যে তারা আর কোন ভাবেই ভারতবর্ষের
ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না তখন তারা দেশভাগের খেত্রেও  
Divide and Rule Policy কাজে লাগিয়ে ভারত এমন ভাবে
বিভক্ত করল যাতে এই নতুন বিভক্ত ভারতবর্ষের ভিন্ন ভাষা,
ভিন্ন ধর্ম ও ভিন্ন জাতীর মানুষগুলো আবার যাতে নিজেদের
ভেতর জাতি ও ভাষাগত হানাহানি ও বিবাদ অব্যাহত রাখে,
কয়েকটি উপ জাতি বহুভাষার ভারতবর্ষকে তারা ভাগ করে
শুধু ধর্মের ভিত্তিতে উর্দুভাষী পাকিস্থান ও বাংলাভাষী পূর্ববঙ্গকে
নিয়ে পাকিস্থান নামে একটি দেশ গঠন করল, এই Divide and
Rule Policyর ভিত্তিতে করা তাদের এই দেশভাগের উদ্দেশ্যই
ছিল যাতে ভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের  ধারক এই দুই
জাতি নিজেদের ভেতর বিভক্তি ও বিবাদ অব্যাহত রাখে এবং
ফলস্বরূপ দেশ ভেঙে আবার টুকরো টুকরো হয়ে গিয়ে জাতি
হিসেবে দুর্বল হয়ে আন্তর্জাতিকভাবে এগোতে না পারে।
    
বিদ্রঃ আজ প্রকাশিত হল নিম্ন ও মধ্যবিত্যের গন্তব্যে পৌঁছানর বাহন ঘিরে রচিত“লোকাল সার্ভিস” সিরিজের উনত্রিশতম পর্ব । প্রতিনিয়ত চলমান পথ থেকে পরিনতির গন্তব্যে ছুটে চলা রংচটা লোকাল সার্ভিস ও তার সাথে জড়িত কিছু আপামর মানুষের গাথাই উপজীব্য হয়েছে এই বহুমাত্রিক Dialogue ঘরানার লেখায় । সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা ।