আগুনের নাম যদি গায়ত্রীমন্ত্র হয়,
তবে বিপাশা কিভাবে এতোটা পোড়ালো?
সে আগুনে গোটা আর্য সভ্যতা পুড়ে গেলেও
কামদেব কিভাবে হয়ে গেলেন সবজান্তা ঈশ্বর ?


সুইয়ে সুতো না পড়ালে জোড়া দেয়া যায় না ভূমধ্যসাগর,  
নিবেদনের গানে জগৎপতির নাম না থাকলে  ভালোবাসাও পায় না অনুমোদনের প্রচ্ছদ,
চাদরের রূপকথায় বাড়াবাড়ি রকমের ভুমিকম্প ছাড়া গড়া যায় না বাখরখানির সংসার,
তবুও অনুমতি ছাড়াই একটা কবিতা গড়ে নিয়েছিলাম আমি,
কথা ছিল একদিন সেই কবিতায় দেবীর প্রতিষ্ঠা হবে,
ঠোঁটে ঠোঁট ছুইয়ে সারাদিন হবে রক্তিম পূজোপাঠ।


কই তুমি তো এখনো খোপায় সমর্পনের মায়া জড়ালে না!
তবে কি বসন্ত আসতে এখনো অনেক দেরী?
তবে কি কুলভাঙা নদীর গল্পে এখনো কেউ দেয়নি দাড়িকমার আঁচড় !


অথচ দেখো আমি কেমন কাটাগাছ উপড়ে আছি করাত কলের দাতে,
আজও তুমি এলে না, ছুঁয়ে দিলে না আমার গোপন পাপের উপনিষদ,
জেনে রেখো একদিন এমন দিন আসবে কাঠবেলির সাদার মায়ায় আর বাঁধা হবে না রঙিন ভ্রমর, সেদিন তোমার ইচ্ছে হলেও আর ছুঁয়ে দিতে পারবে না আমার পর্ণমোচী অহংকার।