যদি চলে যেতে চাও তবে নশ্বর জীবনের ঝাপখোলা
বাতায়নে শেষ সীমানার অন্তিম গণ্ডি এঁকে দেয়া
সর্বগ্রাসী মৃত্যুর মত পদাতিক সময়ের চির বহমান
বুকময় আঁকিবুঁকি কেটে কেটে চলা সব যতিচিহ্নের  
ক্ষতস্থান অকাতরে ছারখার করে দিয়ে অকারন ভুল
ভাবনার মত সব পিছুটান ভুলে নিঃশেষে চলে যাও ...


যদি চলে যেতে চাও তবে নির্ঘুম আঁধার রাতের
একান্ত সঙ্গী তুমিহীন উসর ভাবনার দহন তপ্ত
নিঃসঙ্গ বুকের রোদজ্বলা জমিনে পরিত্যক্ত সময়ের
বাঁকে আলগোছে পড়ে থাকা পুরনো সব স্মৃতির
পদচিহ্ন মুছে ভুল অতীতের মত বিগত হয়ে যাও ...


যদি চলে যেতে চাও তবে ক্রমাগত শেষ পরিনতি
অভিমুখে ধেয়ে চলা স্বল্পদৈর্ঘ্য জীবন নাটকের ক্ষয়িষ্ণু
মানচিত্রে তোমাকে নিয়ে রচিত সমস্ত আলো ঝলমলে
অধ্যায়ের দিগন্ত সীমানা মুছে বিরান করে দিয়ে যাও ...


যদি চলে যেতে চাও তবে তোমার ভাবনায় উৎসারিত
আমার স্বপ্নের জলছবি আকার নিজস্ব ক্যানভাসের
সব রঙ মুছে দিয়ে নীলাকাশ বিবর্ণ করে দিয়ে যাও ...


দৃষ্টি আকর্ষণঃ একই আবহে বাঁধা দিখন্ডিত কাব্য যুগল “যদি চলে যেতে চাও” এবং “যদি ফিরে আসো” ।  আজ প্রকাশিত হল “যদি চলে যেতে চাও” সামনে আসবে “যদি ফিরে আসো” । পড়ার আমন্ত্রন রইল ।