সুখের ক্ষয়িষ্ণু প্রহর শেষে জীবনের বাতায়নে ফিরে
আসা ক্ষুধিত গাঙ হরিণ রাত্রির অনন্ত নির্ঘুম প্রহরের
দোলাচালে অবশিষ্ট হিসেবে থেকে যাওয়া তুমিহীন
ক্ষুধিত বিষাদ আমাকে ছোয় নিজস্ব লোমশ নিবিড়তায়,
ছিনাল নারীর মত সে আমাকে স্পর্শ করে অকাতর,
যেভাবে আমার পূর্বপুরুষরাও কখনো আমার একান্ত
চিন্তার রাজপথ ছুতে পারেনি তাদের বাঙময় শূন্যতায় ...


অতীত, বর্তমান, ভুত, ভবিষ্যৎ, পাপ, পুণ্য, লাভ, ক্ষতি
সব জেনেও আমার নির্নিমেষ চোখের উন্মোচিত চাহিদা  
অকাতরে উপেক্ষা করে আজন্ম অজামিনযোগ্য কষ্টের সশ্রম
কারাদণ্ডের অমোঘ সাজা মঞ্জুর করে স্মৃতিময় পায়ের চিহ্ন
মুছে মুছে তবু তুমি চলে যাও প্রতিশ্রুতির পাঁচিল উপচে,  
সব শেষ হয়ে যাওয়া ঊষর পৃথিবীতে আমার জন্য পড়ে
থাকে শুধু তোমার চেয়েও দীর্ঘ তুমিহীন নিঃসঙ্গ জীবন।