আকাশের নীল বুকের পরতে পরতে জমে থাকা নানান
রঙের কষ্টমেঘের নিজস্ব গল্পগুলো আকুল করা কান্না হয়ে
বৃষ্টির উদাসী চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় ঝরে ঝরে ধরণীর
অনন্ত উপোষী বুকে লিখে গেলো ভেজা বর্ষার প্রথম কবিতা।  


নির্ঝর বর্ষাকাব্যের প্রাণদায়ী অনুপ্রেরণার অমল উৎস হয়ে  
হরিদ্রা খোঁপায় রক্তলাল কৃষ্ণচুড়ার মন মাতানো আবেশ  
জড়িয়ে অবারিত প্রকৃতি মেয়েও নিজেকে আড়াল করে
ফেললো তার চিরসবুজ বালুচরী ঘাগরার দুর্মর রহস্যে।


গর্জনের তীব্রতায় আকাশের নীল ভেঙে চুরমার করে দেয়া
বিজলীর আলোকমালা উপদ্রুত রাত ভেজা জলের সুশীতল
আলোয়ান শরীরে চাপিয়ে বিরহী বাতাসকে রাজসাক্ষী রেখে
ভালোবাসার মেঘবার্তা বয়ে নিয়ে গেল হৃদয় থেকে হৃদয়ে।


নিঃশর্ত আশ্রয়ের নির্ভরতার প্রতীক ধরণী মাতৃকার বর্ষণসিক্ত  
দুঃখ সুখের আবহমান ইতিহাসের অচ্ছেদ্য অংশীদার পদদলিত
ঘাসের সবুজ হৃদয় আদিগন্ত মন্থন শেষে বৃষ্টির বহতা ছুঁয়ে দিলো  
সাগর অভিমুখে ধেয়ে চলা বাঁধন হারা নদীর স্পর্ধিত নাব্যতা।


দিগন্তছোঁয়া ধরণীর অবারিত ক্যানভাসে জলের কালিতে লেখা
সবুজ বর্ষা কাব্যের সমঝদার পাঠক বৃষ্টিতে একা ভিজে যাওয়া
দেবদারুর চোখে চোখ রেখে টানা বর্ষণের গুমোট ঝেড়ে ফেলে
অভিমানী বৃষ্টি সবশেষে হেঁসে ওঠলো সাতরঙা রামধনু খুশীতে।      


বরষার আয়োজন