লাইন এবং বর্ণ সংখ্যার  সমতা রেখে লেখা অবরোহী ঘরানার কবিতা পিরামিডের আকৃতি নেয় বলে কেউ কেউ এটিকে পিরামিডীয় কবিতা বলতে চান,  পিরামিড আকৃতি কবিতা বাংলা বা ইংরেজি সাহিত্যে নতুন কিছু নয়, তবে প্রচলিত পিরামিড কবিতায় লাইন ভেঙে পিরামিড বা পাহাড়ের শেপ দেয়া ছাড়া আর কোন সুনির্দিষ্ট বাহ্যিক বা অন্তঃস্থ গাঠনিক কাঠামো না থাকায় এটিকে কোন ঘরানা হিসাবে দাড় করানো সম্ভব নয় যা Reproduce করা যাবে, সেই জায়গায় একটি যুক্তিগ্রাহ্য ও আকর্ষণীয় সুনির্দিষ্ট বাহ্যিক বা অন্তঃস্থ গাঠনিক কাঠামো নিয়ে এলো এই অবরোহী ঘরানার লেখা, অবরোহী ধারণা থেকে পরে বিবর্তিত হয়ে এসেছে আরোহী, সমারোহী উভরোহী ও দ্বিরোহী কবিতার ধারণা । এই পরবর্তী বিবর্তনগুলো পিরামিড আকৃতির নয়, এখন তাহলে আসি এই ঘরানার সাথে প্রচলিত পিরামিড আকৃতির  লেখার মুল পার্থক্যের জায়গাটি আসলে কি, দশজন পিরামিড কবিতা লিখলে ভাব ও আকৃতিতে দশ রকম হবে কিন্তু সনেট বা হাইকুর মত অবরোহী, আরোহী ও সমারোহীর সুনির্দিষ্ট বর্ণভিত্তিক বাহ্যিক ও  যুক্তিনির্ভর অন্তঃস্থ গাঠনিক কাঠামো থাকায় এটি একটি সুনির্দিষ্ট ঘরানা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব, এই ধারায় লেখার সাফল্য সংশ্লিষ্ট লেখকের শব্দের দখলের উপর নির্ভর করে, আকৃতি ঠিক রাখতে গিয়ে বিকল্প শব্দের ভেতর থেকে প্রয়োজনীয় শব্দ বেছে নিতে হয় বলে এই ঘরানা চর্চায় শব্দের উপর দখল বাড়ে ।