সাহিত্য এক অনন্ত সাধনার পথ । সময়ের হিসাবে আমার নিয়মিত লেখালেখি খুব বেশীদিনের নয়, বছর দেড়েক হবে ।এর আগেও লেখালেখি ছিল, তবে তা অনিয়মিত, সে লেখালেখির দৌড় ছিল নিজের ভালোলাগার গণ্ডিতে আবদ্ধ, ডাইরি, ঝুরো খাতা থেকে স্কুল কলেজ বার্ষিকী পাতা পর্যন্ত ছিল তার গন্তব্য । বর্তমানে সদস্য হিসাবে অনলাইনে আমার লেখালেখি মূলত বাংলা কবিতা, কবিতা ক্লাব, গল্প কবিতা, কবিতা ইবারয়ারি, বাংলার কবিতা, কাব্যকথা, চলন্তিকা, সামহোয়্যার ইন ব্লগ, তারুন্য সহ আরও কিছু জায়গায়।এই বাইরে বেশকিছু ফেসবুক সাহিত্য গ্রুপ ছাড়াও ইম্যাগ অন্যনিষাদ, জলভূমি, প্রতিচ্ছবি, বাঙ্গালিয়ানা, কবিয়াল, সাহিত্য ধারা, ঝরোকা, কবিতা কোষ, আমার বাংলা কবিতা, বাংলাদেশ নিউজ সহ আরও কিছু জায়গায় স্থান পেয়েছে আমার লেখা। গুগলে বাংলায় "হাসান ইমতি" লিখে  সার্চ দিলে কয়েকটি পাতাজুড়ে পাওয়া যাবে এসব প্রকাশনার কিছু কিছু । এই স্বল্প সময়ে প্রাপ্তি হিসাবে মন্দ নয়। মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছি বিস্তর। এবার বইমেলা ২০১৫ ইং তে কয়েকটি সংকলনে এসেছে আমার লেখা যা এই ধারাবাহিক লেখার প্রথম কিস্তিতে উল্লেখ করেছি । এর বাইরেও এবার ছিল নিজস্ব উদ্যোগে মিলিত অর্থায়নে বই বের করার কয়েকটি আমন্ত্রন, ওগুলোতে সারা দিলে লেখা থাকতে পারতো আরও কয়েকটি সংকলনে । ঢাকা ইউনিভার্সিটি লিটারেচার সোসাইটি ও আমার প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য গ্রুপ লেখনীর যৌথ প্রয়াসে প্রবীণ ও নবীন কবিদের সমন্বয়ে ৩০০ পাতার একটি বৃহৎ সংকলন বের হবার কথা ছিল । বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আরও কিছু কারনে সেটার কাজও এবার নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা হয়ে ওঠেনি, আশা করছি ২০১৬ ইং বইমেলায় এই সংকলনটি প্রকাশ করা সম্ভব হবে । আমার কাছে এবার অনেকেরই একটি প্রশ্ন ছিল আমার কোন একক কবিতা সংকলন আসছে কিনা এই বইমেলায় । এখনো আমার কবিতা সংকলন করার সময় হয়নি । নতুনদের অনেকেরই বই বের হয়েছে বা হচ্ছে, তবে প্রায় সবারই বই বের করার পেছনের অপ্রিয় গল্পটি একই, এভাবে চললে তো প্রকাশনা শিল্পের মান নেমে যাবে কারন গাটের টাকা খরচ করলেই যে কেউ বই বের করতে পারছে, আমার নিজের কথা যদি বলি, এই ক্ষেত্রে আমি পেছনের সারিতেই থাকতে চাই, আমার লেখা মূলত নিজের ভালোলাগা থেকেই, যদি মানুষের ভালোবাসা পাই, যদি মনে হয় মানুষ আমার লেখা পড়তে চায়, যখন সেই উচ্চতায় যাবো তখন আমার বইও বের হবে, শুধু নিজের আত্মতুষ্টি বা প্রচারনার জন্য কোন উদ্যোগ নেবার ইচ্ছে আপাতত নেই ।