প্যালিওলিথিক মানুষের সম্বল ছিল আদি পাথরের হাতিয়ার
বন্য পশু পাখি শিকার করে সে জোটাত তার ক্ষুধার আহার,
সে পুরনো প্রস্তর যুগে ছিলনা মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ
তোমরা তবু আজও খোঁজো আদিম মানুষ আর পশুর প্রভেদ ।


নিওলিথিক মানুষেরা শিখে ফেলে ফল আর ফসলের চাষাবাদ
সেই থেকে শুরু সমাজ আর মানুষে মানুষে যত শ্রেণীবিভেদ,
কৃষিকাজের সাথে সাথে শুরু হয় মানুষের পাখি ও পশুপালন
বনের বর্বর পশুর জীবন থেকে মানুষ পায় গৃহীর স্থাবর অর্জন ।


মানুষের উন্নতিতে ক্রমে ক্রমে উন্মেষ হল নগর ও সভ্যতার
মেসোপটেমিয়া, মিশরের নীল আর সিন্ধু সভ্যতা সাক্ষী তার,
ধারাবাহিক সভ্যতার সংগ্রামী হাত ধরে আসে উন্নতির রেনেসাঁ
শিল্প বিপ্লব বয়ে নিয়ে আসে মানুষ ও উন্নতির উচ্চতর মর্যাদা ।


শ্রেণীবৈষম্যের ক্ষতে এ সভ্যতা এক পোশাকি খোলসের নাম
এ সভ্যতা জানেনা দিতে ভালোবাসা ও মনুষ্যত্বের প্রাপ্য দাম,
আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি রচে শ্রমজীবি মানুষের দুর্ভাগা হাড়
ভোগের মদির পেয়ালা উপচিয়ে উচ্ছিষ্ট জোটে কপালে তার ।



সবাইকে জানাই মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা ।