গন্তব্যহীন পথে বহু কার্তুজ বিকেল কাটিয়ে
অবশেষে সময় ফিরেছে নিজ বাসভূমে,
অন্তর্বাসের অস্বস্তিকর কৃত্রিম বাঁধন খুলে
রাত্রিও তখন সবে একুশের তরুণী ।


কিছুটা ফিচেল হাসি আর গদগদ খুনসুটির
সাথে নীরব ভাব বিনিময় হয়ে গেলে
ঠুনকো পবিত্রতার সব দোআঁশলা দাবী
উপেক্ষার প্রপঞ্চক ডানায় উড়িয়ে দিয়ে
মৃদু সমীরণ তখন অকুণ্ঠচিত্তে ছুঁয়ে দিল
জমে থাকা পৌরুষের উত্থিত অহংকার ।      


না মানে নিষেধ নয় আবার হ্যা মানে আমন্ত্রণও নয়
এমন একটি মাঝামাঝি চৌখুপীতে নিঃশেষিত
আমাদের একদার অসহ্য বিকেলগুলো সহসা
তীব্র প্রতিবাদে ঝরে গেলো বৈরি বাতাসের উস্কানিতে ।


আজ তুমি কাকে সুন্দরের পূজনীয় প্রতিমা বলবে বল
সেই আয়ত নয়নাকে যার জন্য নিবেদিত ছিল
তোমার জন্ম জন্মান্তরের সব বিষণ্ণ বিকেলের হাসি ?
নাকি একরাতের প্রশ্রয়ে তোমার বিছানায় নিঃশেষিত
টাকিলার মদিরতা ভাগাভাগি করা এই উষ্ণ উর্বশীকে ?