মনের বেলোয়ারী আঙিনা জুড়ে নেই
মৃদুল বসন্তের প্রজাপতি আনাগোনা,
বাড়ন্ত দেহ বল্লরীর নধর বাকে বাকে
তবু লোলুপ পৌরুষ দেয় অবিরত হানা ।


জঠরহীন পতঙ্গ জন্মের নারদ অভিশাপে,  
নারী শরীর যারা গজ ফিতার স্পর্ধায় মাপে,
দিগন্তহীন অবিশ্বাসের কাগজ চোখের ভ্রূকুটিতে
ওরাই চায় সাদা চাদর যেন লাল রক্ত মাখে ।


ভালোবেসে অকাতরে যারে দেয়া যায় মন,
শরীর তার তরে আপনি যদি রচে অচ্ছেদ্য বাঁধন,
সমাজের স্বীকৃতি ছাড়া যদি ঘটে হেন পরিণয়,
অস্তিতের সঙ্কটে পড়ে সমাজ সেথা চোখ রাঙায় ।


যদি বৈধ বাসরের প্রেমহীন অন্ধকারে
নারী হারায় তার সযত্নে আগলে রাখা আত্মারে,
সমাজ সে তৃপ্ত পুরুষের নামের পাদ প্রদীপে,
আমৃত্যু দণ্ডের আদেশে নারী ললাটে সিঁদুর লেপে।    


নষ্টের তকমা বুকে জন্মায় না কোন নারী,
কিছু অভাগা নারী তবু দহে অন্যের দায় বয়ে ,
যদি অসহায় নারী জন্মের বিধিবদ্ধ পাপে,
আঠারোর অবৈধ ঝড়ে ঊরুসন্ধি কাপে,
সতী অসতীর মাঝে বিভেদের নিরক্ষ রেখা
যদি হয় শুধু ঠুঁটো চর্ম সতীচ্ছদের সুরক্ষা,
কেউ কি জানে কার পাপে কার নামে
লেখা হয় আঁধার কুঠুরির নষ্ট পরিচ্ছদ ?