হাত নির্দ্বিধায় ছুঁয়েছিল হাত,
কথা নিয়েছিল কথক রাত,
না রাখার জন্য কথা নেয়া,
জানি আমি, জানো তুমি, জানে ঈশ্বরও,
স্মৃতিতেই শুধু বেঁচে থাকে যৌবনের রাঢ়িখাল ।


প্রচ্ছন্ন বিদায় শোক আর আগমনী ধুনো একই
প্রচ্ছদে মলাটবদ্ধ প্রকাশনা বাণিজ্যের বদান্যতায়,
ইলেকট্রনিক আর প্রিন্ট মিডিয়ার কাটতি খোঁজে
নির্ভয়াদের নিপীড়ন ধর্ষণের উপাদেয় উপাখ্যান,
তুমুল ক্ষয়ে যেতে যেতে তবুও রায়মঙ্গলের জলে
একটা অনাবশ্যক দীর্ঘশ্বাস ভাসিয়ে দিয়ে যায়
উনবিংশ শতকের শেষ অরন্যচারী মানুষটি,  
বিদ্যাধরী অথবা কালিন্দীর কালে মনুষ্যবেশে
পুনর্জন্ম নেয় কি রাজা প্রতাপাদিত্যের উত্তরসূরি ?

ভেজা শিউলির পা জড়ানো সকালের আয়ু সংকটে
কিংশুক সন্ধ্যা নামে নব্য দ্রৌপদীদের বেসামাল আঁচলে,    
রেসকোর্স থেকে কফিন পর্যন্ত শুধু দৌড় আর দৌড়,
দিগন্তের ওপাশে ডুবে যাবার আগে আগুনের সূর্য
যেমন কথা দিয়ে যায়, দেখা হবে, আবার দেখা হবে,
তেমন পাকা কথা আজকাল কেউ আর দিতে পারে না ।