গল্পটি মৈথুনের,
ভালোবাসার নামে ডুবসাঁতার শুরু হলে কোন সমস্যা ছিল না,
কণে দেখা আলোয় সহসাই একদিন বড় ভুল হয়ে গিয়েছিল,
হৃদয় হৃদয়কে চেনার আগেই জ্বলে উঠেছিল শারীরিক আগুণ,
সব হিসেব নিকেশ উলট পালট হয়ে ঘটেছিল নক্ষত্র পতন ।


না, এটি কোন অনুশোচনার ছাপোষা গল্প নয়,
না, এই গল্পটি কোন মর্মদন্ত পরাজয়েরও নয়,
এ গল্পে কারো কাছে ক্ষমা চাইবারও কিছু নেই,
পশুরাজ যেমন কোন শিকারের জন্যই পরিতাপ করে না,
সৈনিক হৃদয় যেমন শত্রুবধে বিজয় উল্লাসে উল্লসিত হয়,
এটিও তেমনই খাদ্য খাদক শৃঙ্খলের জৈবিক সম্পর্কের গল্প ।


শিকারি যেমন চূড়ান্ত শিকারের আগে তার অসহায়
শিকারকে নিয়ে তাড়িয়ে তাড়িয়ে খেলতে ভালোবাসে,
ঝাঁপিয়ে পড়ে টুটি টিপে ধরলেই তো দফারফা শেষ,
চুপিচুপি কয়েক পা এগিয়ে গিয়ে আবার ফিরে আসা,
শিকারের চারপাশে ঘুরে ফিরে অকারণ চক্কর কাটা,
বাতাসে নাক ডুবিয়ে শিকারের শরীরের ঘ্রান নেয়া,
বারবার মুঠি খোলা বন্ধ করে থাবার আড়মোড়া ভাঙা,
এসব না হলেও শিকারের শেষ পরিণতি বদলে যেত না,
তবুও এসব খুনসুটি ছাড়া শিকারের কথা ভাবা যায় না,
শিকারের গল্পে এই খুনসুটি, না না, খুনসুটি নয়, র‍্যালা,
হ্যা, হ্যা, এ র‍্যালা না থাকলে গল্পটি যে জলভাত হয়ে যেত,
জৈবিক প্রয়োজনের ছকেই যদিও চলে মানুষের জীবন শৃঙ্খল,
তবুও সভ্যতার পোশাকে মানুষ তো পশুর মত বর্বর নয়,
তাই পশুগন্ধি র‍্যালা শব্দটিতে বরাবর তার বড় আপত্তি,
র‍্যালার কাজ চালায় সে ভালোবাসা নামের পাটি গনিতে,
চোখে ভালোবাসার মুদ্রাদোষ আছে তো সব ঠিক আছে,
অভিনয়ে একটু এদিক সেদিক হলেই মহাভারত অশুদ্ধ,
গেল, গেল, জাত গেল, পাত গেল, পশু, পশু, পশু,
ঘটনা একই, পথ একই, পদ্ধতি একই, ফলাফল একই,
তবু কিছু গল্প ভালোবাসার, কিছু গল্প নিছক মৈথুনের ।