আজ কেবলমাত্র অশ্রুসিক্ত
নিভৃত স্মৃতিচারন নয়,
নয় শুধু সান্তনা খোঁজার
প্রথাগত অসহায় প্রয়াস,
নয় মঙ্গল কামনায় তোলা
কোন দুর্বল প্রার্থনার হাত,
আজ তোমার বিরুদ্ধেই
সব অভিযোগ হে সর্বশক্তিমান,
তুমি হেন দুর্বলতা, অসম্পুর্নতা
ও নির্ভরশীলতার কালিতে কেন কারো
ভাগ্যলিপি লিখেছ, হে মহা কারিগর ?


আর কেনই বা কাউকে দিলে
এমন কষ্টের এক অপূর্ণ জীবন ?
যে ফুল ফুটে ছিল একদা প্রভাতে,
তা অকালে ঝরে গেল তোমার হেয়ালিতে,
পেছনে বড়ই শুন্যতা রেখে চলে গেল সে,
নিজের সাথেই অনন্তে বিলীন হয়ে গেল
তার সব পদচিহ্ন, তার উত্তর পুরুষ ।


রচনাকাল: ৩০ শে মে, ২০১২


( মাতৃ সহোদরার মহা প্রয়ানে শ্রদ্ধাঞ্জলী, জীবনের প্রথম ভালবাসায় প্রতারিত হয়ে কলেজ ও এলাকার তৎকালীন ডাকসাইটে সুন্দরী ও মেধাবী এই নারী এর ফলে পরবর্তীতে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি, পরিবারের চাপে ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া হলেও অতীতমুখী এই রমনী বিবাহিত জীবনেও স্থিতিশীল হতে পারেননি, দেড় যুগের বেশি সময় মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় থাকার পর নিঃসন্তান অবস্থায় তিনি মারা যান, ঢাবির ইংরেজি সাহিত্যের এই ছাত্রী সাহিত্য ও সংগীতের অত্যন্ত অনুরাগী ছিলেন, আজকাল মানুষ অনেক সহজেই অতীত ক্ষত ভুলে নতুন করে শুরু করে জীবন, কিন্তু তিনি পারেননি, দুর্দান্ত সুন্দরী এই রমনীর অগনিত গুনগ্রাহী ও পানি প্রার্থী ছিলেন কিন্তু তিনি জীবনে দ্বিতীয় কাউকে আপন করে নিতে পারেননি। এরকম জীবন তার প্রাপ্য ছিল না, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার এই নিবেদন)