বুড়ো রেললাইন জানে,
সব স্টেশন রেলের মানচিত্রে থাকে না।
কিছু কিছু ভুল স্টেশন
শুধু রাতের যাত্রীদের স্বাগত জানায়,
কিন্তু দিনের আলোতে তার
ছায়া মাটিতে পরে না অশরীরির মতো।
দিনের স্টেশনে কিশোরীর বয়স
ভুল করে নেমে পড়েছিল ঠিক মাঝ রাত্তিরে,
নামা মানে ভুলভাল বোঝে শহরের শব্দকোষ,
সে ছিল একটা নিখুঁত জলছাপ,
চোখের বিশ্বাসে রাখা ঘুম যার কার্টিলেজ,
যেখানে আকাশও ছিল এক নীল স্ক্যাম।
একটা লাল জামার ছলনা বলেছিল,
“এখানে প্রেম বিক্রি হয় পপকর্নের দামে,”
তবু সে বিশ্বাস করেছিল
উপহার বাক্সের ভিতর থাকা
“ভালোবাসি তোমায়” স্টিকারের হাহাকারকে।
তার বুকের একান্ত নীল ডায়েরিতে
অচেনা শহরের শব্দেরা বাঙময় ছিলো না,
ছিল স্বপ্নের অথৈ পেন্ডুলাম,
আর দুটো জোড় বেজোড় সংখ্যার যোগফল,
একটা ভুল বয়সের হাতছানির দায়,
একটা অপরিচিত নম্বরের বিষ৷
তার ছবি এখন অচেনা ব্যাকআপ ড্রাইভে,
তবুও গুগল সার্চে আসে না ডার্ক ওয়েব,
তাকে আর “কিশোরী” নামে
পাওয়া যাবে না কোথাও ।
কেউ তাকে বলেনি,
এই শহরের প্রতিটা লিফটেই আছে
এক একটা অনিবার্য পতনের আশংকা,
হঠাৎ পোড়াদহ স্টেশনে লিফট থেকে গেলে
“না” শব্দটা একটা ছুরির ফলা হয়ে যায়।
ভুল স্টেশন আসলে একটা গুপ্ত পার্কিং লট,
যেখানে জমা হয় দিনযাপনের ক্লেদ,
যেখানে মাঝেমধ্যে কেউ কেউ
নেমে পড়ে নিজের অজান্তে,
আর তারা সবাই ফিরে আসে
যেন একটা পোড়া মুখ,
দেখে সাংবাদিক নামের শকুনদের
অভিজ্ঞ চোখ পড়ে ফেলে,
দগ্ধ হবার পুরনো গল্পের নতুন মঞ্চায়ন।