সব বিমূর্ততার প্রগাঢ় কাল্পনিক রঙ
হৃদয়ের ক্যানভাসে কিছু গোপন আয়োজন
শিল্পের লুকানো নিপুন শৈলী
মোঘল সাম্রাজ্যের সুনসান নান্দনিক অলি গলি
দূর্বা ঘাস কাশ বন
কে পারে এমন করে মন রাঙাতে
প্রেম কারে কয় তবুও জানিনে।


আমি বলতাম এর নাম কিহে
তুমি সলাজ হেসে বলতে ওগো জানি নে


এই যে বিস্তর অভিযোগ অথবা অনুযোগ
বিব্রত বা বিভ্রান্ত বা হেয়ালী খেয়াল
পথপানে নিবিষ্ট চোখ; কষ্টের ক্রম ব্যপন
ছোট্ট একটু ছোঁয়ার মাঝে পরশ বুলায় বিস্তর সুখ
যান আনচান করা এই সব মুহূর্ত
হৃদয়ের গহিনে বৈদ্যুতিক বাতির ফিলামেন্টের মত এক খন্ড দহন
এর নাম কি দেবে?
তুমি বলতে,
জানিনে জানিনে জানিনে।


হাজার বছরের পথ মাড়িয়ে জানা হয়নি।
দেহের বুনো সুবাস ঘাটি সৃষ্টির আদি ব্যকরণে
হৃদয়ের ভবগুরে অন্তঃপুরে এতখানি জুড়ে নিলে
তবু প্রেম কারে কয় ঠিক তখনও জানিনে
ততদিনে সংসার গড়িয়েছে ঢের বহুদিনে
হয়ত,
তুমি আর আমি হয়ে উঠি আদিমতা সর্বস্ব নিত্য অভ্যাস।
সংসারী।


কোন এক দুঃখী শীতের সকালে জড়ো হয় ক্লান্ত শিশির
ভালোবাসার খড়কুটো সারিয়ে তোলে হৃদয়ের নষ্ট নীড়
বোষ্টমীর বৈরাগী গানে হৃদয় ফুটে উঠে ফেলে আসা প্রবল দুর্ভিক্ষ
তোমার চর্ম চোক্ষে দুর্বিষহ প্রতীক্ষা কেঁদে উঠে হাউ মাউ করে
কাছে থেকে দূরে থাকা আর নয়।
কিছুতেই নয়!
কষ্টের ভবিতব্য ঠেলে বোষ্টমীর সাথে নতুন পরিচয় হল
আমি তো সংসারী হতে চাইনি বোষ্টমী,
প্রেমী হতে চেয়েছিলেম।


অভিমানী হৃদয়ে জেগে উঠে প্রেম
অতঃপর এক বিন্দু শান্তি তুমি দিলে
আর আমি, চোখের কোনে এক বিন্দু শিশির দিলেম।
দুফোটা চোখের জল
আঙ্গুলের ডগায় মুছে দেয় হৃদয় ফাটল
তুমি আর আমি
ব্যস...
আমার তৃষ্ণাতুর চোখের কৃষ্ণ গহ্বরে চেয়ে
তোমার চোখে মুখে রাজ্যের বিষ্ময়
হলফ করে বলতে পরি প্রিয়তমা;
ভালোবাসা এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।